ব্লাড প্রেসার কমানোর উপায়

ব্লাড প্রেসার কমানোর উপায় | Best ways to control high blood pressure

ব্লাড প্রেসার কমানোর উপায় | Best ways to control high blood pressure, উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেসার এই রোগের প্রতিকার নিয়ে আজকের ব্লগে বিস্তারিত কথা বলব৷

প্রথমে কিভাবে উচ্চ রক্তচাপের সৃষ্টি হয় সেটা সহজ ভাষায় বুঝিয়ে বলছি:

কারণ রোগটা যত ভালোভাবে জানবেন নিয়ন্ত্রণে রাখা তত সহজ হবে৷ আমাদের শরীরের রক্ত নালীগুলো রবারের মতো প্রয়োজনে প্রসারিত ও  সঙ্কুচিত হতে পারে৷ কিন্তু এই রক্তনালি যদি শক্ত হয়ে যায় তখন প্রয়োজনমতো প্রসারিত হতে পারে না। রক্ত চলাচলে বাধা বেড়ে যায়, দেখা দেয় হাই ব্লাডপ্রেশার। এছাড়াও প্রেশার বাড়ার আরও কিছু সূক্ষ্ম কারণ রয়েছে। হাই ব্লাড প্রেশার কিভাবে সৃষ্টি হয় জানলেন, 

প্রেসার বেড়ে গেলে শরীরে কী কী সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে?

ব্লাড প্রেসার কমানোর উপায় | Best ways to control high blood pressure

এখন খুব সহজ করে বুঝিয়ে বলছি, প্রেসার বেড়ে গেলে শরীরে কী কী সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে? এক উচ্চ রক্তচাপের ফলে রক্তনালীগুলো দুর্বল হয়ে যেতে পারে। রক্তনালীর দেওয়াল পাতলা হয়ে বেলুনের মতো ফুলে ওঠে। সেটা হঠাৎ করে ছিঁড়ে যেতে পারে৷ তখন ব্রেনে মারাত্মক রক্তক্ষরণ দেখা দেয়৷ একই সমস্যা পেটে রক্তনালীতেও হতে পারে৷

দ্বিতীয় সমস্যা হতে পারে সেটা হল রক্তনালিতে চর্বি জমা সুস্থ, স্বাভাবিক রক্তনালী তার গায়ে চর্বি জমতে দেয় না। তবে উচ্চ রক্তচাপ রক্তনালীকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে থাকে৷ তখন রক্তনালীর গায়ে চর্বি কোলেস্টেরল লো ক্যালসিয়াম জমতে পারে৷ আস্তে আস্তে চর্বি জমাট বড় হয়৷ রক্তনালী সরু হয়৷ কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় ছবির গায়ে এসে রক্ত জমাট বাঁধে। এক পর্যায়ে রক্তনালীর মুখ পুরোটাই বন্ধ হয়ে যেতে পারে৷ তখন রক্ত আর সামনে আগাতে পারে না।

এটা খুবই মারাত্মক ঘটনা। আপনারা নিশ্চয়ই ব্রেন স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের কথা শুনেছেন৷ এটা সেই ঘটনা। ব্রেনের রক্তনালী বন্ধ হলে হয় স্ট্রোক তখন ব্রেনের এক অংশ আর রক্ত পায় না কোষগুলো মরে যায়৷ একই ভাবে হার্টের রক্তনালী বন্ধ হলে হয় হার্ট এট্যাক৷ এছাড়াও হাই ব্লাড প্রেশার দীর্ঘদিন থাকলে আরও অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে৷ যেমন হার্ট দুর্বল হয়ে যাওয়া কিডনি ক্রমে অকেজো হয়ে যাওয়া দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা দেখা দেওয়া ইত্যাদি অনেকগুলো গুরুতর অসুখের কথা বললাম।

তবে আমার মতে হাই ব্লাড প্রেসারের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দিক এগুলোর কোনওটাই নয়৷ সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হচ্ছে এর নীরবতা কেন হাই ব্লাড প্রেসার শরীরে যখন দেখা দেয় তখন আপাতদৃষ্টিতে কোনও ব্যথা বা অসুবিধার সৃষ্টি করে না। তাই আমরা অধিকাংশ মানুষই তাকে অগ্রাহ্য করি৷ সেই সুযোগে হাই ব্লাড প্রেশার আস্তে আস্তে শরীরের ক্ষতিগুলো করতে থাকে৷ হঠাৎ একদিন দেখা দেয় মারাত্মক ব্যাধি৷ আশা করি পরিষ্কার হয়েছে কেন হাই ব্লাড প্রেশার কখনোই হালকা ভাবে নেওয়া যাবে না।

এখন বলছি সমাধানের কথা:

প্রথমেই বলব খাবার নিয়ে, শুরুতে বলি কি খাওয়া যাবে না।

ব্লাডপ্রেসার কমাতে কী কী খাওয়া বন্ধ করতে হবে?

1. লবন

control high blood pressure

ব্লাড প্রেসার কমানোর উপায়, দ্রুত ব্লাড প্রেসার কমানোর উপায়, হাই ব্লাড প্রেসার কমানোর উপায় কি, ব্লাড প্রেসার কমানোর উপায় কি, ব্লাড প্রেসার কমানোর ওষুধ, হাই ব্লাড প্রেসার কমানোর উপায়, আদর্শ ব্লাড প্রেসার, ব্লাড প্রেসার কম হলে কি করনীয়, কিভাবে ব্লাড প্রেসার কমানো যায়

Post Tag

এক

লবন দিনে কতটুকু লবণ খাচ্ছেন তার উপর সতর্ক নজর রাখতে হবে৷ দিনে চা চামচের পরিমাণে পনে এক চা চামচ থেকে একটু কম লবণ খাবেন৷ এখন আপনি বলতে পারেন এটা তো সহজ লবন নিয়ে খায় ভাতের সাথে লবন নিলেও এক চিমটি বেশি কেউ নেয় না। তবে বিষয়টা এমন নয়। আমরা দিনে যতটুকু লবন খাই তার বেশিরভাগই খাবারের ভেতরে লুকিয়ে থাকে৷ বাসায় ভাতের সাথে তরকারি খায় সেগুলো সবই লবণ দিয়ে রান্না করা।

ফল খেতে গেলে যেমন আমরা জাম্বুরা, পেয়ারা মাখা তো আমরা একটু লবণ দেই। কারণ মজা লাগে বেশি সিঙ্গারা পুড়িয়ে ঝাল মুড়ি সবগুলোতেই লবণ দেওয়া লবণ দেওয়ার নাই এমন খাবারই বরং আমরা কম খাই৷ তাই দিনে কী পরিমাণ লবণ যে আসলে শরীরে ঢুকছে সেটার হিসাব আমাদের কাছে থাকে না।

গবেষণায় দেখা গেছে, বেশিরভাগ মানুষই নিজের অজান্তে মাত্রাতিরিক্ত লবণ খাচ্ছেন উচ্চ রক্তচাপের রোগী হিসাবে আপনার জন্য সেটা অনেক বড় ঝুঁকি৷ এখন বলব কী কী উপায়ে লবণ খাওয়া কমানো যায় নয়া উপায় বলব, এক ভাত খাওয়ার সময় আলাদা করে কাঁচা লবণ খাবেন না৷ টেবিল থেকে লবণের কোটা সরিয়ে ফেলবেন৷ কারণ চোখের সামনে বা হাতের কাছে থাকলে লবণ নিতে ইচ্চা করতে পারে৷

দুই

অনেকের মধ্যে একটি ধারণা আছে যে, কাঁচা লবন ব্লাড প্রেশারের জন্য ক্ষতিকর ভাজা লবণ খেলে সমস্যা নেই, এটা ভুল৷ লবণ কাঁচা হোক আর ভাজা হোক তাতে সোডিয়াম থাকে। আর সোডিয়াম ব্লাড প্রেসার বাড়ায়। তাই তরকারিতে লবণ কম দিতে হবে।

তিন

রান্না করার উপাদানগুলোতে কতটুকু লবণ আছে সেটা খেয়াল রাখতে হবে৷ সয়াসস বিট লবন, টেস্টিং সল্ট যে নিজ এগুলোতে বেশি পরিমাণে লবণ থাকে রান্নায়৷ তাই এ সবের বদলে অন্য কিছু ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন৷

চার

বাসায় রান্না করা কিছু খাবারে এবং কিছু প্রাকৃতিক খাবারে লবণ একটু বেশি পরিমাণে থাকে সেগুলো এড়িয়ে চলবেন বা খেলেও অল্প পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। যেমন চিংড়ি মাছ, পনির কিছু কিছু ভর্তা ও আচার ইত্যাদি।

পাঁচ

বাজার থেকে কেনা খাবার রাস্তার পাশে টং দোকানের খাবার, হোটেল কিংবা রেস্টুরেন্টের খাবার এগুলো যতটা পারেন এড়িয়ে চলবেন কেন এগুলোতে কতটুকু লবন দেওয়া আছে সেটা আপনার জানা নাই। ব্লাডপ্রেসার রোগীদের কথা চিন্তা করে কম লবণ দিয়ে অল্প স্বাদের খাবার রান্না করার সম্ভবনা নেই বললেই চলে৷ তাই এগুলো পরিহার করার পরামর্শ দিচ্ছি৷

ছয়

টমেটো সস টমেটো কেচাপ এড়িয়ে চলবেন। এগুলোতে অনেক লবণ থাকে৷ সাত নাস্তায় পুরি সিঙ্গারা চপ নুডলস চিপস স্যান্ডউইচ এসব পরিহার করলে নিজের অনেক উপকার করবেন না। তার জন্য 1টি ফল খেতে পারেন৷ তবে ফল আবার বিট লবণ দিয়ে মাখিয়ে খাওয়া যাবে না।

আট

যারা প্রক্রিয়াজাত খাবার কেনেন যেমন নুডলস পাস্তা, সিরিয়াল ইত্যাদি। তারা প্যাকেটের গায়ে লেখা লবণের পরিমাণ দেখে কিনবেন লবণ কম আছে এমন অপশন থাকলে সেটা কিনবেন৷

নয়

দাওয়াতে গেলে পোলাও বা ফ্রাইড রাইস না নিয়ে পার্লে সাদা ভাত খাবেন। কারণ ভাত আমরা সাধারণত লবণ ছাড়াই রান্না করি। নান রুটি না নিয়ে সাধারণ শিক্ষা রুটি খাবেন লবণ পরিহার করার জন্য৷

2.  তেল চর্বি

তালিকায় দুই নম্বর হলো তেল চর্বি বা ফ্যাট জাতীয় খাবার৷ সব মিলিয়ে দিনে দুই থেকে তিন চা চামচের বেশি তেল খাওয়া যাবে না, সেটা মাছ, মাংস সবজির তরকারি সাথে হোক বা রাস্তার ভাজাপোড়া সাথেই হোক খাবারে ফ্যাট কমানোর ছয় টি উপায় বলছি৷

হাই ব্লাড প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায়, ব্লাড প্রেসার কমানোর খাবার, ব্লাড প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায়, ব্লাড প্রেশার কমানোর উপায়, কি খেলে ব্লাড প্রেসার কমে, লো ব্লাড প্রেসারে করণীয়, হাই ব্লাড প্রেসারের ঔষধ, ঔষধ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায়, হাই প্রেসার কমানোর ঔষধ নাম, উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ঔষধ

Post Tag

এক

রান্নায় তেল ঢালার সময়ে চা চামচ ব্যবহার করবেন। তাহলে কতটুকু তেল দিচ্ছেন সেই হিসেব রাখতে সুবিধে হবে৷

দুই

মাংস খেতে হলে চর্বি ছাড়া মাংস বেছে নেবেন।

তিন

মুরগির চামড়া খেতে মজা লাগলেও অনুগ্রহ করে এড়িয়ে চলবেন৷ কারণ মুরগির চামড়ায় অনেক ফ্যাট থাকে৷

চার

ঘি আর মাখন থেকে দূরে থাকবেন৷ কারণ এগুলোতে ফ্যাটের পরিমাণ বেশি।

পাঁচ

দুধের সর ফুল ক্রিম বা ফুল, ফ্যাট দুধ এবং মিষ্টি দই খাবেন না। বরং ফ্যাট ফ্রি দুধ আর টক দই খাবেন৷

ছয়

ডিম তেলে না ভেজে সিদ্ধ করে বা পোচ করে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। 1টি ডিম ভাজতে অনেকে এক থেকে দুই চামচ তেল ব্যবহার করে৷

3. চিনি

এবার আসি খাবারের তালিকা থেকে কমাতে হবে এমন তিন নম্বর খাবা সেটা হল চিনি। সারা সপ্তাহের খাবারে যাতে দুই থেকে পাঁচ টেবিল চামচের কম চিনি থাকে সেটা মাথায় রাখতে হবে।

গর্ভবতী মায়ের প্রেসার কম হলে করনীয়, ব্লাড প্রেসার কমে গেলে করণীয়, ব্লাড প্রেসার কমে গেলে কি করনীয়, ব্লাড প্রেসার কন্ট্রোল, ব্লাড প্রেসার চার্ট, প্রেসার কম থাকলে করনীয়, ব্লাড প্রেসার কমানোর উপায়

Post Tag

এক

কোক সেভেন আপ ইত্যাদি সফট ড্রিংকে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে৷ এগুলো একদম না খাওয়াই ভাল৷ আপনি সারা সপ্তাহে সর্বোচ্চ যতটুকু চিনি খেতে পারবেন৷ ছয়শ দুই মিলে এক বোতল কবিতার চেয়ে বেশি পরিমাণ চিনি থাকে৷

দুই

টমেটো কেচাপ৷ এতে ভালো পরিমাণে চিনি থাকে৷ একটু আগে বলেছি লবণ থাকে। তাই এটা বাদ দিতে হবে। লবণের মতই তেল এবং চিনি, বিভিন্ন রান্নার উপকরণ এবং খাবারের মধ্যে লুকিয়ে থাকতে পারে৷ তাই বুদ্ধি খাটিয়ে সতর্কতার সাথে রান্না করা এবং খাবার খাওয়া সম্পূর্ণ করতে হবে।

ব্লাড প্রেসার কন্ট্রোলে রাখতে কী কী খাবেন?

Read More:

এবার আসি কী খাবেন কিছু কিছু খাদ্যে পটাসিয়াম থাকে যা রক্তচাপ কমায় কোন খাবারে পটাশিয়াম থাকে আর কীভাবে বেশি পটাশিয়াম খাবেন? 3টি উপায় বলছি।

এক

দিনে চার থেকে পাঁচ টি মাঝারি সাইজের ফল খাবেন। খাধ্যাভাস বদলানো সম্ভব না হলে একটু একটু করে বাড়ান ধরেন। আপনি হয়তো দিনে এক বা তার কম ফল খান৷ তাহলে চিন্তা করেন আগামী এক সপ্তাহ। আপনি প্রতিদিন অন্তত 2টি করে ফল খাবেন। সেই অনুযায়ী বাজার করে রাখেন সকালের নাস্তায় 1 টি ফল খান অফিসে ব্যাগে করে 1টি ফল নিয়ে যান৷ সাথে যাতে ক্ষুধা লাগলে সেটা খেতে পারেন পরের সপ্তাহে ফলের সংখ্যাটা আরও বাড়ান।

দুই

দিনে দুই থেকে আড়াই কাপ কাটা বা রান্না করা সবজি খাবেন৷ এটাও আগের মতোই অল্প অল্প করে পরিবর্তন করুন। যদি সবজি তেমন খাওয়া না হয় তাহলে সিদ্ধান্ত নেন আপনি আগামী সপ্তাহে প্রতিদিন অন্তত একবেলা এক কাপ সবজি খাবেন। ফল আর শাক সবজিতে প্রাকৃতিকভাবেই পটাশিয়াম মজুদ আছে৷

এগুলো আপনার রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করবে। পটাশিয়াম বাড়ানোর জন্য ভুলেও আবার নিজে নিজে পটাশিয়াম ট্যাবলেট খাওয়া শুরু করবেন না। এই গেল ফলমূল শাকসবজির কথা, খাদ্যে পটাশিয়াম বাড়ানোর।

তিন

তৃতীয় উপায় হল দুধ এবং দই ফুল ক্রিম বা পুনর্নিযুক্ত দুধ এবং মিষ্টি দই খাওয়া যাবে না। কারণ সেগুলোতে ফ্যাট বেশি খেতে হবে৷ ফ্যাট ফ্রি দুধ কিংবা টক দই দিনে দুই থেকে তিন কাপ ফ্যাট ফ্রি দুধ বা টক দই খেতে পারেন। এক কাপের মাপ হবে 250 এর মতো৷ এতক্ষণ যে খাবারগুলো বেশি খাওয়ার কথা বললাম তার উদ্দেশ্য হলো স্বাস্থ্যের জন্য অপকারী খাবার কমিয়ে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী খাবারগুলো বেশি খাবেন৷

ধরুন আপনি রাস্তায় 3টি সিঙ্গারা খেতে এখন তিন টার বদলে 1 টি সিঙ্গারা আর সাথে 1টি কলা খেলেন আগে বেশি ভাত খেতেন এখন ভাত কমিয়ে সবজি বেশি খাবেন। কিন্তু যদি এমন হয় যে আপনি দুই প্লেট ভাত খেতেন। এখনও দুই প্লেট ভাতই খান৷ সেটা কমাননি৷ কিন্তু সাথে যোগ করেছেন পাঁচশ এমএল দুধ৷ তাহলে কিন্তু ওজন বেড়ে যাবে এবং হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা আছে৷

এই যে খাবার নিয়ে এত কথা বললাম৷ এগুলোর একটাও আমার মন গড়া কথা না বছরের পর বছর ধরে গবেষণার মাধ্যমে চিকিৎসা বিজ্ঞান জানতে পেরেছে সেখান থেকে বলা এটার নাম ড্যাশ ডায়েট গবেষণায় দেখা গেছে, এই ডায়েট অনুসরণ করতে পারলে 11 পয়েন্ট পর্যন্ত রক্তচাপ কমতে পারে৷ ব্লাড প্রেসারের ক্ষেত্রে অনেক বড় সংখ্যায় এটা।

এটা সঠিকভাবে অনুসরণ করার জন্য শুধুমাত্র রোগী না বরং পরিবারের সবার অংশগ্রহণ প্রয়োজন৷ যে বাজার করছে যে রান্না করছে যে খাবার টেবিলে আছে সবার এই বিষয়গুলো জানতে হবে। খাবার নিয়ে শেষ কথা আমি পরামর্শ দিয়েছি সেটা শুধুমাত্র উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য যাঁদের উচ্চ রক্তচাপের পাশাপাশি অন্য রোগ আছে। বিশেষ করে কিডনির রোগ আছে। তাঁরা অবশ্যই একজন ডাক্তার বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেবেন।

খাবার ছাড়া আর কী কী উপায় রক্তাচাপ  নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়:

এবার আসি খাবার ছাড়া আর কী কী উপায়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় তিনটি উপায় বলব৷

1.  ওষুধ

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে। আপনার অবস্থা অনুযায়ী ডাক্তার আপনাকে ওষুধ দেবেন। দয়া করে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া নিজে নিজেই ওষুধ বন্ধ করবেন না। একদিন আপনি প্রেশার মেপে দেখেন যে প্রেশার নর্মাল হয়ে গেছে৷ তাই সিদ্ধান্ত নিলেন আর ওষুধ খাবেন না৷

অনেক রোগীকে আমি এমন করতে দেখেছি এবং এটা মারাত্মক 1টি ভুল৷ হাই ব্লাড প্রেশার আপনাকে কিছু জানান দেবে না নীরবে শরীরের ক্ষতি করতে থাকবে, তারপর হয়তো একদিন দেখা দেবে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক৷

2. অতিরিক্ত ওজন কমানো

অতিরিক্ত ওজন কমানো,  প্রতি এক কেজি অতিরিক্ত ওজন কমালে রক্ত চাপ সাধারণত এক পয়েন্টের মতো কমে। তাই যাদের ওজন বেশি তারা কমাতে চেষ্টা করুন৷

3. নিয়মিত শরীরচর্চা করা

সপ্তাহে আড়াই ঘণ্টা করে নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারলে রক্তচাপ পাঁচ পয়েন্ট পর্যন্ত কমতে পারে৷ আস্তে আস্তেকরে চেষ্টা করেন। চেষ্টা করেন সপ্তাহে পাচ দিন আধা ঘন্টা করে দ্রুত হাটতে।

একটিা জিনিষ উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা করবেন না, সেটা হলো ধুমপান। উচ্চরক্তচাপ ও ধুমপান দুটোই হার্টের রোগীর ঝুকি বাড়ায়।

Do you find this Blog informative or helpful? Let us know in the comment section below. Stay Healthy.

please let me know in the comment section below, please.
Share and stay healthy.

Thank you!

PDF Book: Click Here

If you need more informative posts like this, you can follow me on Facebook page and YouTube channel. Below is the link.

Thank you……….!

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *