Watch and Learn BD

হজের দোয়া সমূহ _ All Dua for Hajj | Best Post – 2024

হজের দোয়া সমূহ _ All Dua for Hajj | Best Post – 2024

ALL DUA FOR HAJJ

খুশিমনে ঘর হতে বের হওয়ার সময় পড়ুন:

বিসমিল্লাহি ওয়া তাওয়াককা—লতু আলাল্লাহি, লা—হাওলা ওয়ালা কু’য়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়িল আযীম।

গাড়ীতে উঠে সিটে বসে পড়ুন:

আল্লাহু আকবার, আলাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, সুবহানাল্লাজী সাখখারালানা হাজা অমা কুন্না লাহু মুক্বরিনীনা ওয়া ইন্না ইলা রাব্বিনা লা মুনকালিবুন ।

জেদ্দায় অবতরণের সময় পড়ুন :

রাব্বি আদখিলনী মুদখালা সিদকিউঁ ওয়া আখরিজনী মোখরাজা সিদকিউঁ অয়াজআললী মিল্লাদোনকা সুলতানান্নাসীরা।

দেশে ফেরত যাত্রার সময় গাড়ীতে উঠে পড়ুন:

আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, সুবহানাল্লাজী সাখখারালানা হাজা অমা কুন্না লাহু মুক্বরিনীনা ওয়া ইন্না ইলা রাব্বি না লা মুনকালিবুন ।

নিয়ত: হে রাব্বুল আল—আমিন একমাত্র তোমারই সন্তষ্টি—লাভের জন্য আমি ইহরাম পড়ছি।

২ রাকাত নফল: 1 st  রাকাত সূরা কাফেরুন

2nd রাকাত সূরা ইখলাস।

3 times: লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক। লাব্বাইকা লা শারিকালাকা লাব্বাইক। ইন্নাল হামদা ওয়ান্নি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা’শারিকালাক।

3 times: হে আল্লাহ! আমি তোমার সন্তষ্টির এবং জান্নাত প্রার্থনা করছি। এবং তোমার অসন্তুষ্টির জাহান্নাম থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

কয়েকবার দরুদ+ আয়াতুল কুরসি+ সূরা কুরাইশ ।

ওমরার নিয়ত: হে আল্লাহ! আমি ওমরার নিয়ত করছি তোমার সন্তষ্টির জন্য। তা সহজ করে দাও ও কবুল করে নাও।

DUA FOR HAJJ _ হজের দোয়া সমূহ _ Hajj _ হজ্জের দোয়া

zil hajj dua, 9 zil hajj dua, umrah hajj dua, zil hajj dua in arabic, hajj dua bangla, intention for hajj dua, hajj duas pdf, hajj dua labbaik allahumma in bangla, hajj dua in arabic, hajj dua labbaik allahumma, hajj dua list, hajj dua cards, hajj dua book, hajj dua in urdu, hajj dua audio download, hajj dua allahu akbar, hajj dua arabic text, hajj dua app, Hajj dua arabic pdf,

Hajj dua acceptance, arafat hajj dua, dua for hajj, dua for hajj acceptance, hajj ki dua allahumma labbaik, dua for hajj pdf, hajj ki dua in arabic, hajj dua book pdf, Hajj dua, bengali hajj dua bangla, best dua for hajj, hajj er dua bangla, best dua for zil hajj, best dua on hajj day, hajj dua cards pdf

Keyword

ওমরার সফরে লাব্বাইক + দরুদ+ নিজের উদ্দেশ্য পূরণের দোয়া করব। + *সুবহানাল্লাজিল মুলকি।

পৌছে ডান পা দিয়ে ডুকে দোয়া :

বিসমিল্লাহি ওয়াচ্ছালাতু ওয়াচ্ছালামু আলা রাসূলুল্লাহ (সা:), আল্লাহুম্মাগ ফিরলী যুনুবী ওয়াফতাহলী আবওয়াবা রাহমাতিক।

অর্থ: হে আল্লাহ ! তুমি আমার জন্য তোমার রহমতের সকল দরজা খুলে দাও এবং আমাদের জন্য রিজিকের পথ সহজ করে দাও ।

বের হওয়ার দোয়া:

আচ্ছালাতু আচ্ছালামু আলা রাসূলুল্লাহ (সা:), আল্লাহুম্মা ইন্নি আছআলুকা মিন ফাদলিক ।

আল্লাহর ঘর দেখা মাত্ৰ

আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহ আকবার (৩x) ।

+ তুমিই শান্তির প্রতীক, তোমারই হতে শান্তির ধারা প্রবাহিত হয়। হে প্রতিপালক আমাদের জীবন নিরাপদ কর । হে আল্লাহ, তোমার এই ঘরের মহাত্ব, সম্মান, গৌরব ও ভক্তি বৃদ্ধি করে দাও । যিনি এ ঘরের হজ্জ্ব বা ওমরা পালন করে তারও ইজ্জত, সম্মান, গৌরব ও সাওয়াব বাড়িয়ে দাও ।

+ আল্লাহ জীবনে যখন যা আমার ও আমার পরিবারের কল্যাণের জন্য যে দোয়া করব এবং করেছি আপনি তাহা কবুল করেন।

তাওবা: লাকদ্দ যা— — —আকুম রুসু—লুস্মিন আংফুসিকুম আঁঝি—ঝুল আলাইহি মা— আনিতুম হারিছুন আলাইকুম বিল মু:মিনিনা রউ—ফুর রাহি— —ম ফাইং। তা ওয়াল্লাও ফাক্কুল হাছাবিই আল্লা—হু লা—ইলা—হা ইল্লা— হুয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশিল আজী———ম।

আস্তাগফিরুল্ল—হা রব্বি মিং কুল্লি জামবিন আজনাবতুলু—আমাদান আওখত আন ছিরন আত্ত আলা নিয়াতান ওয়া আতুবু ইলাইহি মিনাজ জামবিল্লাজি—আলামু ওয়ামি নাজ জামবিল্লাজী, লা আলামু ইন্নাকা আংতা আল্লা—মুল গুয়ু—ব ওয়া ছাত্তারুল অয়ু—ব অগফফা—রুজ জুনুব । ওয়ালা—হাওলা ওয়ালা কু’য়াতা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজী———ম।

দোয়া:

রাব্বানা আতিনা-—। লা ইলাহা———আহাদ। লা ইলাহা————ক্বাদীর।

হে আল্লাহ ! হে আমার পালনকর্তা, হে আমার প্রতিপালক, ক্ষমা করুন ও রহম করুন ও দয়া করুন । তুমিই সর্বোচ্চ সম্মানের অধিকারী ও রহমকারীদের মধ্যে আপনি শ্রেষ্ঠ রহমকারী ।

* আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকাল জান্নাতা ওয়া আউযুবিকা মিনান নার।

* আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকাল আফওয়া ওয়াল আফিয়্যাতা, ফি—দ্দিনী ওয়া দুনইয়াআ, ওয়া আহলী ওয়া মাল ।

* আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিনাল কুফরী, ওয়াল ফাক্করি, ওয়া মিনআযাবিল ক্বাবরি, লা ইলাহা ইল্লা আনতা ।

* আল্লাহুম্মা আফিন্নী ফি বাদানি, আল্লাহুম্মা আফিন্নী ফি সাময়ী, আল্লাহুম্মা আফিন্নী ফি বাছারী, লা ইলাহা ইল্লা আনতা ।

* আল্লাহুম্মা আ ইন্না জিকরিকা অশুকরিকা অ হুসনি ইবাদাতিকা ।

* রাব্বিজ আলনী মুকীমাস সালাতি অমিন জুররীয়্যাতী রাব্বানা অতাকাব্বাল দোয়ায়ি, রব্বানাগফিরলী অলিওয়ালিদ্যায়া অলিলমু’মিনী না ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব ।

* রাব্বানা—লা—তুযিগ লুবানা বা’অদা ইজ হাদাইতানা ওয়া হাবলানা মিল্লাদুনকা রাহমাতান ইন্নাকা আনতাল ওয়াহহাব।

* রাব্বানা হাবলানা মিন আযওয়া—জিনা ওয়া মুররিইয়্যাতিনা—ক্বররাতা আ’অ—ইউনিওঁ ওয়াজ্ব’আলনা লিল্ল মুত্তাক্বী—না ইমামা ।

* রাব্বিগ ফির ওয়ারহাম ওয়া আনতা খাইরুর—রাহিমীন ।

* রাব্বানা ইন্নানা আমন্না ফাগফিরলানা যুনুবানা ওয়া ক্বিনা আযাবান্নর।

* ইয়া আল্লাহু, ইয়া রহমানু, ইয়া রহিমু, ইয়া হাইউ, ইয়া কাইউমু, বি—রাহমাতিকা আস্তাগেছ ।

* রাব্বিশরাহলী সাদরী ওয়া ইয়াসসির লীআমরী ।

* রাব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আনতাল আয়াজ্জুল আকরাম।

* ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইউমু বি—রাহমাতিকা অস্তাগেছু অছলিহ শা’নী কুল্লাহু অলা তাকিলনী ইলা নাফসী তারফাতা আইনিন ৷

* সুবহানা রাব্বিকা রাব্বিল ইজ্জাতি আম্মা ইয়াসিফুন, ওয়া সালামুল আলল মুরসালিন, আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আ’লামীন ।

* লা—ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নী কুনতু মিনায যোয়ালিমীন। ফাসতাজাবনা লাহু নাজাইনাহু মিনাল জাস্মি ওয়া কামালিকা নূনজিল মু’মিনীন ।

* রাব্বি হাবলী হুকমাও ওয়াল হিকনী বিস—সলিহীন ।

* রাব্বি আন্নী যাচ্ছানিয়াদদ্দুরু ওয়া আন্তা আরহামুর রাহিমীন ।

* ছুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার ।

* আল্লাহুম্মা আন্তা রাব্বী লা—ইলাহা ইল্লা আন্তা খালক্বতানী ওয়া আনা’আব্দুকা ওয়া আনা আলা আহদিকা ওয়া ওয়াদিকা মাসতাত্বা’তু আ’উযুবিকা মিন শাররি মা সানাতু আবূউ লাকা বিনি ‘মাতিকা ‘আলাইয়্যা ওয়া আবূউ বিমাম্বী ফাগফিরলী ফা—ইন্নাহূ লা—আগফিরুজ যুনুবা ইল্লা আন্তা ।

**নিচের দোয়াসমূহ অথবা ইহার মধ্য হতে যত দূর সম্ভব তাওয়াফে, সায়ীতে, আরাফায় মিনায়, মুজদালিফায় ও অন্যান্য স্থানে পড়ুন:

লা—ইলাহা ইলালাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ইউহয়ি ওয়া ইউমিতু বিয়াদিহিল খাইরু, ওয়া হুয়া আলা কুলি শাইয়িন ক্বাদির। (Page ১২৪ )

***তওবা:

আস্তাগ ফিরুল্লাহা রাব্বি মিনকুলি যামবিউ ওয়াতুবু ইলাইহে, লা—হাওলা ওয়ালা কু’য়াতা ইলা বিলাহিল আলিয়িল আযীম। (Page ১২৫)

হজের দোয়া, হজ্জের দোয়া, ওমরা হজ্জের দোয়া, হজ্জের দোয়া বাংলা, হজ্জের দোয়া লাব্বাইক আল্লাহুম্মা, হজ্জের দোয়া সমূহ pdf, হজের দোয়া সমূহ, হজ্জের দোয়া আরবি, হজ্জের দোয়া সমূহ, ওমরা হজ্জের দোয়া সমূহ, ওমরাহ হজ্জের দোয়া, হজ্জের দোয়া লাব্বাইক আল্লাহুম্মা আরবি

Keyword

দোয়া: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াদাহু সাদাকা ওয়াদাহু ওয়া নাসারা আবদাহু ওয়া হাযামাল আহযাবা ওয়াহদাহু, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শরীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু, ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইইন কাদীর ।

হে আল্লাহ আমি আপনার সন্তুষ্টি লাভের জন্য ৭ তোয়াফের নিয়ত করছি। আমার জন্য তা সহজ করে দেন ও কবুল করে নেন।

বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া লিল্লাহিল হামদ, ওয়াস—সালাতু ওয়াস—সালামু আলা রাসূলুল্লাহ (সা:) (চুমু খাবো

সুবহানাল্লাহি আলহামদু লিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার লা—হাওলা ওয়ালা কু’য়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়িল আযীম ।

ওয়াচ্ছালাতা ওয়াচ্ছালামু আলা রাসূলুল্লাহি (সা:) ।

আল্লাহ পবিত্র সমস্ত প্রশংসা তাহারই জন্য আল্লাহ ভিন্ন কোন উপাস্য নাই এবং তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ, অতি উচ্চ গৌরবান্বিত, আল্লাহ তাআলার সাহায্য ব্যতীত কোন ক্ষমা নাই ।

হে আল্লাহ এই ঘর তোমারই ঘর, এই হেরেম তোমারই হেরেম, এই শান্তি তোমারই শান্তি এবং ইহা তোমার নিকট দোযখ হইতে আশ্রয়কারীদের স্থান, আমাকে দোযখ হইতে রক্ষা কর ।

রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওয়াকিনা আযাবান্নার । ওয়া আদখিলা—নাল জান্নাতা মা আল আবরার, ইয়া আযীযু, ইয়া গাফফারু, ইয়া রাব্বাল আলামীন ।

হে আমাদের প্রতিপালক, ইহকাল ও পরকালে আমাদের মঙ্গল কর ও আমাদের দোযখের শাস্তি হইতে রক্ষা কর এবং সৎ লোকের সাথে আমাদের বেহেস্তে প্রবেশ করায়েন ।

ALL DUA FOR HAJJ

১ম তোয়াফ:

আল্লাহ পাক—পবিত্র এবং সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই জন্য, আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ। মহামহিম আল্লাহর অনুগ্রহ ছাড়া ভালো কাজ করারও কোন ক্ষমতা নাই এবং মন্দ হতে বেচে থাকার ও কোন উপায় নাই। অবারিত শান্তি ও দয়ার ধারা প্রবাহিত হোক আল্লাহর প্রিয় রাসূল (সা:) এর প্রতি এবং তার আল আওলাদের প্রতি ।

হে আল্লাহ! আমি তোমাকেই মাবুদ স্বীকার করছি এবং তোমাকেই সত্য জেনেছি এবং তোমার কিতাবকে সত্য বলে বিশ্বাস করেছি এবং তোমার নবী ও প্রিয় হাবীব আমাদের নেতা হযরত মুহাম্মদ (সা:)—মের তাবেদারী করে তোমার নিকট দেওয়া ওয়াদা পালন করেছি। হে আল্লাহ! তোমার ক্ষমার দরজা আমার জন্য সবসময় খোলা রাখ এবং দুনিয়া ও আখিরাতে আমাকে মঙ্গল দান কর। বেহেশত দান করে আমাকে সাফল্য প্রদান কর এবং জাহান্নামের আগুন হতে আমাকে রক্ষা করো ।

২য় তোয়াফ:

হে আল্লাহ! এই ঘর তোমারই ঘর। এই হারাম তোমারই হারাম। এর নিরাপত্তা তোমারই প্রদত্ত নিরাপত্তা। এখানে বাসিন্দাগন তোমারি বান্দা। আমিও তোমারই বান্দা এবং তোমার বান্দার সন্তান। দোযখের আগুন হতে তোমার নিকট আশ্রয় চাওয়ার এটাই যে প্রকষ্ট স্থান। অতএব তুমি আমাদের দেহের গোশত ও চর্মকে দোযখের আগুনের প্রতি হারাম করে দাও ।

হে আল্লাহ! ঈমানকে আমাদের নিকট প্রিয়তর করে দাও এবং আমাদের অন্তরসমূহে একে আকর্ষণীয় করে তোলো। কুফরী, অবাধ্যতা ও অপরাধ প্রবণতার প্রতি আমাদের অন্তরসমূহে ঘৃণার সঞ্চার করো এবং আমাদেরকে সত্য পথের পথিক বানাও । হে আল্লাহ! যেদিন তুমি তোমার বান্দাগণকে বিচারের জন্য সমবেত করবে, সেদিনের শাস্তি হতে আমাকে রক্ষা করো । হে আল্লাহ আমাকে বিনা বিচারে বেহেশত নসিব কর ।

৩য় তোযাফ:

হে আল্লাহ! আমি আমার ঈমানের মধ্যে সংশয়—সন্দেহ, শিরিকী, বিভেদ—বিচ্ছিন্নতা, চরিত্র ভ্রষ্টতা, কুদৃষ্টি ও মন্দ দৃশ্য দর্শন এবং বাড়ি ফিরে আমার ধন—সম্পদ ও পরিবার—পরিজন, সন্তানাদির বিনাশ দর্শন হতে তোমার দরবারে আশ্রয় চাচ্ছি। হে আল্লাহ ! তোমার সন্তুষ্টি এবং বেহেশতই তোমার কাছে কাম্য, তোমার অসন্তুষ্টি এবং জাহান্নামের আগুন হতে তোমার দরবারে আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! কবরের মহাপরীক্ষা এবং জীবন ও মৃত্যুর যাবতীয় বিপর্যয় হতে তোমার দরবারে আশ্রয় চাচ্ছি।

৪র্থ তোয়াফ :

হে আল্লাহ ! আমার এ হজ্জকে মকবুল হজ বানিয়ে দাও । আমার এ প্রচেষ্টাকে গ্রহণযোগ্য করে লও । আমার গুনাহরাশি মাফ করে দাও। সৎকর্মসমূহ কবুল করে নাও এবং আমার ব্যবসাকে ক্ষতিহীন ব্যবসাতে পরিণত কর । হে অন্তর্যামী! হে আল্লাহ! আমাকে গুমরাহীর অন্ধকার হতে বের করে হিদায়েতের আলোকে আলোকোজ্জ্বল করো । হে আল্লাহ! আমি তোমার দরবারের রহমত ও মাগফিরাতের উপকরণ চাচ্ছি।

সকল প্রকার গুনাহ হতে বাঁচার এবং সর্বপ্রকার নেকি হতে উপকৃত হওয়ার তৌফিক আমি তোমার দরবারে চাচ্ছি। জান্নাত লাভের সাফল্য এবং দোজখ হতে মুক্তির দরখাস্ত পেশ করছি। হে আল্লাহ! তুমি যে রিজিক আমাকে দান করেছো, তাতেই আমাকে তৃপ্ত ও সন্তুষ্ট রাখো এবং তোমার প্রদত্ত নেয়ামত রাজীতে আমাকে বরকত দাও। আমার সব অপূর্ণতাকে মঙ্গল দ্বারা পূর্ণ করে দাও।

৫ম তোয়াফ:

হে আল্লাহ! আমাকে ঐ দিন তোমার আরশের নিচে ছায়া দান করো, যেদিন তোমার আরশের ছায়া ছাড়া আর কোন ছায়া থাকবে না এবং তুমি ছাড়া কেউ টিকে থাকতে পারবে না। আমাকে তোমার নবী, আমাদের নেতা মুহাম্মদ (সা:)—এর হাউজ হতে সেই পানীয় প্রদান কর, যে পানিও পান করার পর আর কখনো পিপাসা লাগবে না। হে আল্লাহ! তোমার নবী, আমাদের নেতা মুহাম্মদ (সা:) তোমার কাছে যেসব কল্যাণ ও মঙ্গল চেয়েছিলেন,

সেগুলো আমিও তোমার নিকট চাচ্ছি এবং যে অকল্যাণ হতে তোমার নবী, আমাদের নেতা মুহাম্মদ (সা:) তোমার কাছে আশ্রয় চেয়েছিলেন, সেগুলো হতে আমিও তোমার আশ্রয় চাচ্ছি। হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে বেহেশত ও তার নিয়ামত সমূহ এবং বেহেশতের নিকটবর্তী করতে পারে এমন কথা, কাজ ও আমলের তৌফিক চাচ্ছি এবং তোমার কাছে দোযখ হতে এবং এমন কাজ, কথা ও আমল হতে আশ্রয় চাই যা আমাকে দোযখের নিকটবর্তী করবে।

৬ষ্ঠ তোয়াফঃ

হে আল্লাহ! আমার প্রতি তোমার অর্পিত অনেক দায়—দায়িত্ব আছে, যা কেবল তোমার আমার মধ্যে সীমাবদ্ধ এবং আরো অনেক দায় দায়িত্ব আমার উপর রয়েছে, যা তোমার সৃষ্টি ও আমার মাঝে সীমাবদ্ধ। হে আল্লাহ! আমার উপর তোমার যে হক আছে, তা ক্ষমা করে দাও এবং তোমার সৃষ্টির হকগুলো আদায়ের দায়িত্ব তুমিই বহন কর। তোমার হালাল দ্বারা তোমার হারাম হতে আমাকে মুক্ত রাখো।

তোমার আনুগত্যের মাধ্যমে আমাকে তোমার নাফরমানী হতে বাচাও। হে মহা ক্ষমাশীল! তোমার অনুগ্রহ দ্বারা অন্যের মুখাপেক্ষী হওয়া হতে আমাকে বাঁচাও । হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই তোমার ঘর অতিশয় মর্যাদাবান এবং তুমি মহান ও দয়ালু। হে আল্লাহ! তুমি অতিশয় দয়ালু, সহনশীল ও মহান। তুমি তো ক্ষমা পছন্দ কর, সুতরাং আমাকে ক্ষমা করে দাও ।

৭ম তোয়াফ:

হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট পরিপূর্ণ ঈমান, সত্যিকারের বিশ্বাস, ভীত হৃদয়, জিকিরে লিপ্ত জিব্বা, সচ্ছল জীবিকা, পবিত্র ও হালাল রোজগার, সত্যিকারের তওবা, মৃত্যুর পূর্বে তওবা, মৃত্যুর সময়ে শান্তি, মৃত্যুর পরে ক্ষমা ও দয়া, বিচারের সময়ে মার্জনা, বেহেশত লাভের মাধ্যমে সাফল্য ও দোযখ হতে পরিত্রাণ চাচ্ছি। হে মহা পরাক্রমশীল ও ক্ষমাশীল! তোমার দয়ায় আমার দু’আ কবুল কর।

হে আমার প্রতিপালক! আমার জ্ঞান—গরিমা বাড়িয়ে দাও এবং সৎকর্মশীলগণের দলে আমাকে শামিল কর ।

মাকামে ইব্রাহিমের পিছে দুই রাকাত তোয়াফের নামাজ আদায় করার নিয়ত (1st রাকাত কাফেরুন, 2nd রাকাতে এখলাস) 

আল্লাহর ঘরের দিকে ফিরে দাঁড়িয়ে তিন ঢোকে (৩শ্বাসে) পান করব। শুরুতে বিসমিল্লাহ ও বলবো:— বিসমিল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রসূলুল্লাহি (সা:)। হে আল্লাহ! তুমি আমার জ্ঞান দাও, বিদ্যা দাও, বুদ্ধি দাও, তুমি আমাদের স্বাস্থ্য দাও, তুমি আমাদের রোগমুক্ত কর।

পান শেষে বলবো: আলহামদুলিল্লাহ!

দোয়া : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা এলমান নাফিয়াও ওয়া রিজকান ওয়া—সি আত্ত ওয়া শিফা—আম মিন কুল্লি দা—ইন।

* সাফাতে যেতে বলবো:

ইন্নাস সাফা ওয়াল মারওয়াতা মিন শায়াইরিল্লাহ।

মসজিদুল হারামের শেষ প্রান্তে:

হে আল্লাহ! আমার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দাও। তোমার অনুগ্রহের দরজা সমূহ আমার জন্য খুলে দাও। শয়তানের কবল হতে আমাকে রক্ষা করো ।

ক্সসায়ীর: কেবলামুখী হয়ে নিয়ত: হে আল্লাহ! আমি আপনার সন্তুষ্টি লাভের জন্য সাফা মারওয়া মাঝখানে সাতবার সায়ীর নিয়ত করলাম। আপনি তা আমার জন্য সহজ করে দিন ও দয়া করে কবুল করেন।

কাবা মুখি হয়ে দোয়ার হাত উঠিয়ে :

৩ বার আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। (১বার) আল্লাহু আকবার, লা’ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়ালিল্লাহিল হামদ। +লাইলাহা————শাইয়িন কাদীর।

অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নাই, তিনি এক তাহার কোন অংশী নাই। সমস্ত রাজত্ব ও প্রশংসা তাহারই জন্য, তিনি জীবন দেন ও মৃত্যু ঘটান। সকল কল্যাণ তাহার হাতে। তিনি সর্বশক্তিমান।

* Green Light দোয়া: Walk fast

রাব্বিগ ফির ওয়ারহাম ওয়া আন্তাল আয়াজুল আকরাম। হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা করো, দয়া কর, তুমি মহাপরিক্রমশীল, মহাসম্মানী।

*মারওয়াতে Same দোয়া পড়ব হাত উঠায়। সাত সায়ীর শেষে মসজিদুল হারামে দুই রাকাত নামাজ মাতাফে পড়বো।

১ম সায়ী:

অর্থ: আল্লাহ অতি মহান আর অগণিত প্রশংসা তারই প্রাপ্য। মহান আল্লাহর পবিত্রতা বয়ান করছি, দয়াল আল্লাহর প্রশংসা বর্ণনার সাহায্যে সন্ধ্যা ও সকালে, (হে মানব) রাতের কোন সময়ে উঠে তার দরবারে সিজদা করো। আর দীর্ঘ রাত ধরে পবিত্রতা বয়ান করো। আল্লাহ ছাড়া উপাস্য আর কেউ নেই। তিনি অদ্বিতীয়। (অতীতে) তিনি ওয়াদা পালন করেছেন, তার বান্দা (মুহাম্মদ স:) কে একাই তিনি সাহায্য করেছেন আর পরাজিত করেছেন কাফিরদের দলগুলিকে ।

তিনি অনাদি, অনন্ত, তিনি জীবন দেন এবং নেন, তিনি চিরঞ্জীব, অক্ষয়, অমর, তিনি কল্যাণময়, ফিরে যেতে হবে তারই নিকট সকলকে আর সবকিছুর উপর তার ক্ষমতা অপ্রতিহত। প্রভু! ক্ষমা করো, দয়া করো, গুনাহ মাফ কর, অনুগ্রহ কর, আর তুমি যা জানো, তা মার্জনা করো। হে আল্লাহ! তুমি সবই জানো,যা আমরা জানি না তাও জানো, তোমার শক্তি আর অনুগ্রহের তুলনা নেই। প্রভু দোযখ হতে আমাদিগকে বাচাও। নিরাপদ,সফলকাম,আনন্দময় রাখো, তোমার নেক বান্দাদের সঙ্গে এবং তোমার

নেয়ামতপ্রাপ্তগণ অর্থাৎ নবীগণ, সিদ্দিকগণ, শহীদান আর অন্যান্য নেক বান্দার সঙ্গে, তারাই হচ্ছেন উত্তম বন্ধু; এ কেবল আল্লাহর অনুগ্রহ। আল্লাহ খুব ভালো করেই জানেন। সত্য মনে বলছি, উপাস্য একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউ নেই, নেই কোন উপাস্য, আল্লাহ ব্যতীত বন্দেগীর যোগ্য। (স্বীকার করছি) উপাস্য আল্লাহ ব্যতীত কেউ নেই। ইবাদত করি শুধু তারই, সত্যিকারের আনুগত্য শুধু তারই জন্য যদিও কাফিররা তা পছন্দ করে না।

২য় সায়ী:

অর্থ: উপাস্য একমাত্র আল্লাহ, যিনি এক ও অদ্বিতীয়, একক ও স্বয়ংসম্পূর্ণ, যিনি (কাকে) পত্নী বানান নাই, পুত্ৰ বানান নাই, বিশ্ব পরিচালনায় তার কোন অংশীদার নাই, আর কোন দুর্বলতাও নাই যে, তার জন্য সাহায্যকারী প্রয়োজন হতে পারে। (হে মানুষ!) তুমিও তার মহত্ব ভালো করে বর্ণনা করো। হে আল্লাহ! তোমার প্রেরিত কিভাবে তুমি বলেছ, “আমাকে ডাক, আমি সারা দিব”। আমরা তোমাকে ডাকছি সুতরাং আমাদের গুনাহ মাফ কর, আর তুমি তো ওয়াদা খিলাফ করো না।

হে পরওয়ারদিগার! আমরা একজন ঘোষণাকারীকে ঈমানের দাওয়াত দিয়ে বলতে শুনেছি, “তোমাদের প্রভুর উপর ঈমান আনো।“ তাই আমরা ঈমান এনেছি সুতরাং হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের গুনাহ মাফ কর, আমাদের সব অন্যায় অনাচার মোচন করে দাও, আর আমাদের মৃত্যু দাও সৎ লোকদের সঙ্গে, আর তা—ই আমাদিগকে দান কর——যার ওয়াদা করেছ তুমি তোমার নবী রাসূলগণের নিকট, আর লজ্জিত করো না আমাদিগকে কেয়ামতের দিনে; নিশ্চয়ই তুমি ওয়াদা ভঙ্গ করো না।

হে আমাদের প্রতিপালক! ভরসা করছি শুধু তোমারই উপর, আর এসেছি তোমারই নিকট এবং তোমার নিকটিই ফিরে যেতে হবে; সুতরাং হে প্রভু! ক্ষমা করো আমাদিগকে আর আমাদের সেই ভাইদেরকে যারা ঈমানের ব্যাপারে আমাদের অগ্রবর্তী; বিদ্বেষ দিও না আমাদের অন্তরে তাদের প্রতি, যারা ঈমান এনেছে। প্রভু! তুমি সত্যিই বড় দয়ালু।

৩য় সায়ী :

অর্থ: প্রভু! আমাদের (ঈমানের) নূরকে পরিপূর্ণ করো আর ক্ষমা করো আমাদেরকে, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশক্তিমান। হে দয়ালু! তোমার নিকট প্রার্থনা করছি সব রকম কল্যাণ, যা তাড়াতাড়ি আসে তাও, যা দেরিতে আসে তাও। আশ্রয় চাচ্ছি তোমারই সব রকম অকল্যাণ হতে তা আশু লভ্য হোক কিংবা গৌণে লভ্য; মার্জনা চাচ্ছি আমার গুনাহের, আর ভিক্ষা চাচ্ছি তোমার রহমতের।

হে আল্লাহ! হে প্রভু! আমার জ্ঞান বাড়িয়ে দাও, বিভ্রান্ত করো না আমার অন্তরকে সত্য পথ দেখাবার পর,দান কর আমাকে তোমার খাস রহমত, নিশ্চয়ই তুমি মহান দাতা৷ হে আল্লাহ! নির্দোষ করো আমার কান আর চক্ষুকে, উপাস্য তুমি ব্যতীত আর কেউ নেই। হে আল্লাহ! আমি আশ্ৰয় চাচ্ছি তোমার নিকট কবরের আযাব হতে, উপাস্য তুমি ব্যতীত আর কেউ নেই। পবিত্র তোমার সত্তা, নিশ্চয়ই আমি পাপী—তাপী। হে আল্লাহ!

তোমার নিকট পানাহ চাচ্ছি কুফর আর দারিদ্র হতে। হে আল্লাহ! আশ্রয় চাচ্ছি তোমার তুষ্টির দ্বারা তোমার রোষানল হতে, তোমার বখশিসের দ্বারা তোমার শাস্তি হতে আর তোমার নিকট থেকে তোমারই আশ্রয় চাচ্ছি। কুলিয়ে উঠতে পারিনা তোমার প্রশংসা করে। তুমি ঠিক তেমনি, যেমনটি তুমি নিজে বর্ণনা করেছ। সব প্রশংসাই তোমার যতক্ষণ না তুমি খুশি হও।

৪র্থ সায়ী:

অর্থ: হে আল্লাহ! তোমার নিকট চাচ্ছি সব জিনিসের মঙ্গল, যা তোমার জানা আছে। আর মাফ চাচ্ছি সব গুনাহ হতে যা তুমি জানো, কেবল তুমি তো গায়েব সম্পর্কে জানো। নাই কোন উপাস্য আল্লাহ ব্যতীত——যিনি সবার সম্রাট, সত্য সুস্পষ্ট, মুহাম্মদ (স:) আল্লাহর রাসূল, প্রতিশ্রুতি রক্ষাকারী, বিশ্বাসী।

ইয়া আল্লাহ! তোমার কাছে আমার প্রার্থনা, যেমন করে ইসলামের পথ আমাকে দেখিয়েছ, তেমনি আমার নিকট হতে তা ছিনিয়ে নিও না মরণ পর্যন্ত, আর মরণ যেন হয় আমার মুসলিম হিসাবে। হে আল্লাহ! আলো দাও আমার অন্তরে, শ্রবণে আর দৃষ্টিতে। আল্লাহ! উন্মুক্ত করে দাও আমার বক্ষ, সহজ করে দাও আমার কাজ, আর পানাহ চাচ্ছি তোমার নিকট, মনের সন্দেহ বিকারের অনিষ্ট হতে, বিষয় কর্মের পেরেশানি হতে আর কবরের ফিতনা হতে।

হে আল্লাহ! তোমার নিকট পানাহ চাচ্ছি সেই সব জিনিসের অনিষ্ট হতে—— যা রাত্রে আসে আর আর যা দিনে আসে এবং যা বাতাসে উড়িয়ে নিয়ে আসে। হে শ্রেষ্ঠতম দয়ালু! আমি তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি, তোমার উপযুক্ত বন্দেগী করতে পারিনি। হে আল্লাহ! তুমি পাক—পবিত্র। স্মরণ করিনি তোমাকে তেমন করে ঠিক যেমন করে করা উচিত, হে আল্লাহ!

হজের দোয়া, হজ্জের দোয়া, ওমরা হজ্জের দোয়া, হজ্জের দোয়া বাংলা, হজ্জের দোয়া লাব্বাইক আল্লাহুম্মা, হজ্জের দোয়া সমূহ pdf, হজের দোয়া সমূহ, হজ্জের দোয়া আরবি, হজ্জের দোয়া সমূহ, ওমরা হজ্জের দোয়া সমূহ, ওমরাহ হজ্জের দোয়া, হজ্জের দোয়া লাব্বাইক আল্লাহুম্মা আরবি

Keyword

৫ম সায়ী

অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি পাক—পবিত্র, তোমার শোকর আদায় তেমন করি নাই———যেমনটি করা উচিত। হে আল্লাহ! তুমি পাক—পবিত্র, তোমাকে চাওয়ার মত চাইনি। হে আল্লাহ! ঈমানকে আমাদের নিকট প্রিয় করে দাও আর আমাদের অন্তরে একে শোভিত করে দাও এবং আমাদের নিকট ঘৃণ্য করে দাও কুফরকে, দুষ্কৃতি আর অবাধ্যতাকে এবং আমাদিগকে শামিল কর তোমার নেককার বান্দাদের মধ্যে।

হে আল্লাহ! বাঁচাও আমাদের তোমার আযাব হতে সেদিন, যেদিন তুমি আবার উঠাবে তোমার বান্দাদেরকে। হে আল্লাহ! দেখাও আমাকে সরল পথ, নিষ্পাপ কর আমার তাকওয়ার সাহায্যে। আমাকে মাগফেরত করো দুনিয়া আর আখেরাতে। হে আল্লাহ! ছড়িয়ে দাও আমাদের উপর তোমার বরকত, ফযল আর রিযিক। হে আল্লাহ! তোমার নিকট সে নিয়ামত চাচ্ছি, যা স্থায়ী হবে এবং হাতছাড়া কিংবা বিনাশ হবে না কখনও।

হে আল্লাহ! আমার হৃদয়কে, আমার শ্রবণ শক্তিকে, আমার দৃষ্টি শক্তিকে, আমার যবানকে, আমার সম্মুখ এবং উপরকে তোমার নুরের আলোকে আলোকিত করে দাও। হে প্রতিপালক! আমার বক্ষ প্রসারিত করে দাও এবং কর্মসমূহকে সহজ করে দাও। নিশ্চয়ই সাফা এবং মারওয়া আল্লাহর নিদর্শন। সুতরাং যে থানা—ইথকা’বার হজ্জ করে কিংবা উমরা করে, তার পক্ষে এ নিদর্শন দু’টির তাওয়াফ (সায়ী) করায় কোন দোষ নেই। কেউ স্বেচ্ছায় ভালো কাজ করলে নিশ্চয়ই আল্লাহ পুরস্কারদাতা,সর্বজ্ঞ।

৬ষ্ঠ সায়ী :

অর্থ: আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, আল্লাহ, সর্বশ্রেষ্ঠ, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নাই। তিনি এক, তার ওয়াদা চিরসত্য। তিনি তার বান্দাকে (নবীকে) সাহায্য করেছেন, কাফিরদেরকে যুদ্ধে পরাস্ত করেছেন। তিনি এক এবং তিনি ছাড়া কোন উপাস্য নাই। আমরা একনিষ্ঠভাবে একমাত্র তারই ইবাদত করি, যদিও বিধর্মীগণ এই সত্য ধর্মকে অস্বীকার করে।

হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট চাচ্ছি হিদায়াত, তাকওয়া, শান্তি এবং ঐশ্বর্য। হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই সকল প্রশংসা যা আমরা করি এবং যতটুকু আমরা করি, তা হতে তুমি অনেক ঊর্ধ্বে। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট তোমার সন্তুষ্টি এবং বেহেশত চাচ্ছি এবং আশ্রয় চাচ্ছি তোমার ক্রোধ ও দোযখ হতে এবং যে সমস্ত কথা ও কার্যক্রম দোযখের নিকটবর্তী করে, ওই সমস্ত কথা ও কার্যক্রম হতে তোমার আশ্রয় চাচ্ছি।

হে আল্লাহ! তোমার নূরের আলোকে আমাদিগকে আলোকিত করো, তোমার রহমত দ্বারা আমাদিগকে পরিপূর্ণ করো। তোমারই নিয়ামত সমূহ এবং ইহসানের মধ্যে আমরা সকাল বিকাল অতিবাহিত করি। তুমিই প্রথম, তোমার পূর্বে কেউ নেই এবং তুমিই শেষ, তোমার পরেও কেউ নেই। তুমিই যাহির এবং তুমিই বাতিন। আমরা তোমার নিকট দারিদ্র্য, অভাব—অনটন, কবরের আযাব এবং প্রাচুর‌্যের ফিতনা হতে আশ্রয় চাচ্ছি এবং তোমার নিকট বেহেশত লাভের সাফল্য কামনা করছি।

হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা কর, রহম কর, দয়া কর এবং মেহেরবানী কর। নিশ্চয়ই আমরা যা করছি, সব তোমার জানা আছে। নিশ্চয়ই তুমি আল্লাহ মহাসম্মানী। নিশ্চয়ই সাফা এবং মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনস্বরূপ। সুতরাং যে থানা—ই—কা’বার হজ্জ করে কিংবা উমরা করে, তার জন্য এই নিদর্শন দুটির তাওয়াফ (সায়ী) করায় কোন দোষ নাই। কেউ স্বেচ্ছায় ভালো কাজ করলে নিশ্চয়ই আল্লাহ পুরস্কারদাতা, সর্বজ্ঞ।

৭ম সায়ী:

অর্থ: আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, আল্লাহ, সর্বশ্রেষ্ঠ, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ। সমস্ত প্রশংসা তারই জন্য। হে আল্লাহ! আমার মধ্যে ঈমানের মহব্বত সৃষ্টি করে দাও। আমার অন্তরে একে সুষমামন্ডিত কর। আমার অন্তর হতে কুফর, পাপাচার এবং গুনাহসমূহ দূর কর এবং আমাকে সুপথে পরিচালিত কর। হে পরওয়ারদিগার! আমাকে ক্ষমা করো, রহম করো,

মেহেরবানী করো এবং সম্মানিত করো। আমাদের (গুনাহ) সম্পর্কে যা তুমি জানো, তা ক্ষমা করে দাও। নিশ্চয়ই তুমি তা জানো, যা আমরা জানি না। নিশ্চয়ই তুমি আল্লাহ মহা—পরাক্রমশালী মহা—সম্মানী। হে আল্লাহ! আমাদের নির্ধারিত আয়ুষ্কাল ও আমাদের আশা আকাঙ্খাকে তোমার দয়ায় পূর্ণ করো।

তোমার সন্তুষ্টি লাভের পথকে সহজ করে দাও এবং কর্মের প্রতিটি ক্ষেত্রে সৌন্দর্য দান করো। হে ডুবন্তকে উদ্ধারকারী! হে ধ্বংস এবং মৃত্যু হতে রক্ষাকারী! হে প্রতিটি গোপন কথা নিরীক্ষাকারী! হে ফরিয়াদকারীর শেষ আশ্রয়স্থল! হে অনাদি গ্রহণকারী! এ সর্বকালের মঙ্গলকারী!

Read More:

রাজনৈতিক সিভি ইডিটেবল ফরমেট

হে ঐ সত্তা———যার দরজায় না যেয়ে কারো উপায় নেই। সমস্ত বস্তু তারই নিকট হতে আসে। হে ঐ সত্তা———যার উপর প্রতিটি প্রাণীর রিজিক নির্ভর করে। প্রত্যেক বস্তুর প্রত্যাবর্তন তারই নিকটে। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে যা দান করেছো এবং যা দান করনি, সকল কিছুর অশুভ হতে তোমারই আশ্রয় গ্রহণ করছি। হে আল্লাহ! আমাদিগকে মুসলমান হিসেবে মৃত্যু দান করে নেক বান্দাদের সাথে আমাদের মিলন করে দাও। হে আমার প্রতিপালক! আমার কর্মকে সুসম্পন্ন করে দাও।

নিশ্চয়ই সাফা এবং মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনস্বরূপ, সুতরাং যে থানা—ই—কা’বার হজ্জ করে কিংবা উমরা করে, তার পক্ষে এই নিদর্শন দু’টির তাওয়াফ (সায়ী) করায় কোন দোষ নেই। কেউ স্বেচ্ছায় ভালো কাজ করলে নিশ্চয়ই আল্লাহ পুরস্কারদাতা, সর্বজ্ঞ।

অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি আমার গোপন ও প্রকাশ্য সবই জানো। সুতরাং আমার অনুশোচনা গ্রহণ করো। তুমি আমার চাহিদা সম্পর্কে সম্যক অবগত, সুতরাং আমার আবেদন কবুল কর, তুমি আমার অন্তরের কথা জানো, সুতরাং আমার গুনাহ সমূহ মোচন করো। হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে চাচ্ছি এমন ঈমান——— যা আমার অন্তরে স্থান লাভ করবে এবং এমন সাচ্চা ইয়াকিন———যাতে আমার দৃঢ় বিশ্বাস জন্মে আমার জন্য যা তুমি নির্ধারিত করে রেখেছো।

তা—ই আমার জীবনে ঘটবে এবং তুমি যা আমার ভাগ্যে রেখেছো তাতে যেন আমি রাযী থাকতে পারি। ইহ—পরকালে তুমি আমার সহায়। আমাকে মুসলমান হিসাবে মৃত্যু দিও এবং সৎকর্মশীলগনের সাথী কর। হে আল্লাহ! আমার কোন গুনাহই মাফ না করে কোন দুশ্চিন্তাই দূর না করে, কোন অভাবই না মিটিয়ে ছেড়ো না। হে আল্লাহ! আমাদের সকল কাজ সহজ করে দাও। আমাদের অন্তরসমূহকে বিকশিত করো।

আমাদের আত্মাসমূহকে নূরানী করে দাও। নেক আমলের উপর আমাদের মৃত্যুদান করো। হে আল্লাহ! মুসলমানরুপে যেন আমাদের মৃত্যু হয়। পুণ্যবানগণের দলে যেন আমরা সামিল হতে পারি। বিনা লাঞ্ছনায়, বিনা বিসম্বাদে যেন আমরা পার হতে পারি। হে বিশ্বপালক! আমাদের দু’আ কবুল করো।

অর্থ: হে আল্লাহ! হে প্রাচীনতম ঘরের মালিক! আমাদিগকে আমাদের মাতাপিতাকে, আমাদের ভাই—বোন দিগকে, সন্তান—সন্ততিকে জাহান্নামের আগুন হতে মুক্তি দাও। হে দয়ালু দাতা, করুণাময়! মঙ্গলময়! হে আল্লাহ! আমাদের সকল কর্মের শেষ ফলকে সুন্দর করে দাও। ইহকালের অপমান ও পরকালের শাস্তি হতে আমাদিগকে বাঁচাও। হে আল্লাহ! আমি তোমার বান্দা,

তোমার আযাবের ভয়ে, তোমার করুণার আশায় তোমার দরবারে হাযির হয়েছি। হে চির মঙ্গলময়! হে আল্লাহ! তোমার কাছে আমি চাচ্ছি যেন আমার যশ বৃদ্ধি পায়, আমার পাপের বোঝা লাগঘ হয়, আমার কর্ম সঠিক হয়, আমার অন্তর পবিত্র থাকে, আমার কবর আলোকিত হয়, আমার গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয় এবং বেহেশতে উচ্চ মর্যাদার আসন তোমার কাছে আমি চাচ্ছি। আমার দরখাস্ত মনজুর করো।

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী আসসালুকা ইলমান নাফিআও ওয়া রিযকান ওয়াসিআও ওয়া শিফাআন মিন কুল্লি দায়ীন।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট ফলপ্রসূ ইলম, স্বচ্ছল জীবিকা এবং সকল রোগের নিরাময় কামনা করছি।

নিম্নের দু’আটি প্রতি চুমুক অন্তে পড়া ভালো

উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু ‘আলা রাসূলিল্লাহ।

অর্থ: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, সালাত ও সালাম রাসূলুল্লাহ (সা:) এর প্রতি।

সায়ী

এরপর উমরা বা হজ্জ পালনকারী হাজরে আসওয়াদে ইস্তিলাম অর্থাৎ সম্ভব হলে চুমু দিয়ে বা হাতে ইশারা করে তাতে চুমু দিয়ে সায়ীর উদ্দেশ্যে সাফার দিকে আসবেন

মসজিদুল হারামের শেষ প্রান্তে সাফার নিকট পৌঁছে পড়বেন:

উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি ওয়াসসালাতু ওয়াসসালামু ‘আলা রাসূলিল্লাহ, রাব্বিগফিরলী যুনুবী ওয়াফতাহ লী আবওয়াবা ফাদলিক। আল্লাহুম্মা আ’সিমনী মিনাশশায়তান।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দাও। তোমার অনুগ্রহের দরজারসমূহ আমার জন্য খুলে দাও। শয়তানের কবল হতে আমাকে রক্ষা করো।

সাফা পাহাড়ে উঠতে উঠতে পড়বেন:

উচ্চারণ: ইন্নাস সাফা ওয়াল মারওয়াতা মিন শা’আ—ইরিল্লাহ ফামান হাজ্জাল বায়তা আয়ি তামারা ফালা জুনাহা আলাইহি আই—ইয়াততাওওয়াফা বিহিমা, ওয়ামান তাতাওওয়াআ খায়রান ফাইন্নাল্লাহা শাকিরুন আলীম। অর্থ: নিশ্চয়ই সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং যে ব্যক্তি বাইতুল্লায় হজ্জ কিংবা উমরা করবে এই দু’টির তাওয়াফ—এ (সায়ীতে) তার জন্য দোষ নাই, কেউ স্বেচ্ছায় ভালো কাজ করলে নিশ্চয়ই আল্লাহ পুরস্কারদাতা, সর্বজ্ঞ।

সাফা পাহাড়ে উঠে বাইতুল্লাহর দিকে ফিরে তিনবার আল্লাহু আকবার বলে এ দু’আ পড়বেন:

উচ্চারণ: লাইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু য়ুহয়ী ওয়ায়ুমীতু বিয়াদিহিল খায়রু, ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।

অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নাই। তিনি অদ্বিতীয়। তার কোন অংশীদার নাই। বিশ্বময় তার রাজত্ব আধিপত্য। সকল প্রশংসা তাঁরই। তিনি জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান। সব কল্যাণ তার হাতে। আর তিনি সর্বশক্তিমান৷

সাফা মারওয়ায় সায়ী করার সময় সবুজ পিলারদ্বয়ের মাঝে দ্রুত চলার সময়ের দু’আ:

উচ্চারণ: রাব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আনতাল আ’আযযুল আকরাম।

অর্থ:হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা কর, দয়া কর, তুমি মহাপরাক্রমশীল, মহাসম্মানী।

মদিনা শরীফ যিয়ারতের দু’আসমূহ:

সবুজ গম্বুজ নজরে পড়ামাত্র গাড়ি হতে নেমে অত্যন্ত আদবের সহিত দরুদ পড়বেন এবং নিম্নের দু’আটি পড়বেন:

উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি মাশাআল্লাহু লা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। রাব্বি আদখিলনী মুদথালা সিদকিন ওয়া আখরিজনী মুখরাজা সিদকিন, আল্লাহুম্মাফতাহলী আবওয়াবা রাহমাতিকা ওয়ারযুকনী মিন যিয়ারাতি রাসূলিকা মা রাযাকতা আওলিয়াআকা ওয়া আহলা তা’আতিকা ওয়া আনকিযনী মিনান নার; ওয়াগফিরলী ওয়ার হামনী খায়রা মাসউলিন, আল্লাহুম্মারযুক লানা ফীহা কারারান ওয়া রিযকান হালালা ।

অর্থ: আল্লাহর নামে (এ শহরে প্রবেশ করছি) আল্লাহ যা মনজুর করছেন। নেক কাজ করা এবং গুনাহর কাজ হতে বেঁচে থাকা আল্লাহর সাহায্য ব্যতীত হতে পারে না। হে আমার প্রতিপালক! আমাকে সত্য পথে প্রবেশ করাও এবং সত্য পথেই বের করাও। হে আল্লাহ! তুমি আমার জন্য অনুগ্রহের দ্বার খুলে দাও।

তোমার রাসুলের যিয়ারত দ্বারা আমাকে সম্মানিত কর, যেভাবে তোমার ওলী—আওলিয়া ও ইবাদতকারী বান্দাগণকে সম্মানিত করেছ। তুমি আমাকে দোযখ হতে রক্ষা কর। তুমি আমাকে মাফ করে দাও। হে শ্রেষ্ঠতম ফরিয়াদের স্থল! আমার প্রতি করুণা কর। হে আল্লাহ! এ শহরে তুমি আমাকে শান্তি, সুখ ও হালাল রিযিক দান করো।

রওযা শরীফের সামনে হাজির হয়ে পাঠ করবেন এবং মনে মনে খেয়াল করবেন যে, আমি জিন্দা নবী (সা:)— এর সামনে হাজির হয়ে সালাম পেশ করছি এবং তিনি তা শুনছেন:

উচ্চারণ: আসসালামু আলাইকা আইয়্যহান্নাবিয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। আসসালাতু ওয়াসসালামু আলাইকা ইয়া রাসূলাল্লাহ! আসসালাতু ওয়াসসালামু আলাইকা ইয়া নাবীয়্যাল্লাহ! আসসালাতু ওয়াসসালামু আলাইকা ইয়া হাবীবাল্লাহ! আসসালাতু ওয়াসসালামু আলাইকা ইয়া খায়রা খালকিল্লাহ। আসসালাতু ওয়াসসালামু আলাইকা ইয়া সায়্যিদাল মুরসালীন! আসসালাতু ওয়াসসালামু আলাইকা ইয়া খাতামান্নাবিয়্যীন!

আসসালাতু ওয়াসসালামু আলাইকা ইয়া রাহমাতাললিল আলামীন! আসসালাতু ওয়াসসালামু আলাইকা ইয়া শাফী’আল মুযনিবীন। সালাওয়াতুল্লাহি ওয়া সালামুহু আলাইকা দায়িমীনা মুতালাযিমীনা ইলা ইয়াওমিদ্দীন। আশহাদু আন্নাকা ইয়া রাসূলাল্লাহি কাদ বাল্লাগতার রিসালাতা ওয়া আদ্দাইতাল আমানাতা ওয়া নাসাহতাল উম্মাতা ওয়া কাশাফতাল গুম্মাতা ফাজাযাকাল্লাহু আন্না আফদালা মা জাযা নাবিয়্যান আন উম্মাতিহী!

আল্লাহুম্মা আতিহিল—ওয়াসীলাতা ওয়ালফাদীলাতা ওয়াদ দারাজাতার রাফি’আতা ওয়াবআসহুল মাকামাম মাহমুদানিল্লাযী ওয়া’আদ’তাহু ইন্নাকা লা তুখলিফুল মী’আদ।

অর্থ: হে নবী! আপনার প্রতি অজস্র ধারায় শান্তি বর্ষিত হোক এবং আল্লাহর রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক। হে আল্লাহর রাসূল! আপনার প্রতি অসংখ্য দরুদ ও সালাম। হে আল্লাহর হাবীব! আপনার প্রতি অসংখ্য দরুদ ও সালাম। হে আল্লাহর সর্বোত্তম সৃষ্টি! আপনার প্রতি অসংখ্য দরুদ ও সালাম। হে রাসূলগণের সর্দার! আপনার প্রতি অসংখ্য দরুদ ও সালাম। হে শেষ নবী! আপনার প্রতি অসংখ্য দরুদ ও সালাম।

হে গুনাহগারদের জন্য সুপারিশকারী! আপনার প্রতি অসংখ্য দরুদ ও সালাম। কিয়ামত পর্যন্ত আপনার প্রতি অবিরাম ও নিয়মিত অনেক দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি (আল্লাহর) বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন। (তার বান্দাগণের কাছে) এবং (অর্পিত) আমানত আদায় করেছেন এবং উম্মতের (সার্বিক) কল্যাণের বিহিত করেছেন; অতঃপর আল্লাহ তা’আলা আমাদের পক্ষ হতে আপনাকে এমন উত্তম প্রতিদান দিন, যা কোন নবীর উম্মাতের পক্ষ হতে কোন নবীর প্রতি প্রদত্ত হতে পারে।

হে আল্লাহ! তুমি তাকে মর্যাদা ও অতি উচ্চ সম্মান দাও এবং যে মাকামে মাহমূদের ওয়াদা তুমি তাকে দিয়েছ, সেখানে তাকে উন্নীত কর। তুমি ওয়াদা খিলাফ কর না৷

হযরত আবু বাকর (রা:)—এর মাজারের সামনে পাঠ করবেন:

Long Version: 

উচ্চারণ: আসসালামু আলাইকা ইয়া খালীফাতা রাসূলিল্লাহি ওয়া সানিয়াহু ফিল গারি ওয়া রাফীকাহু ফিল আসফারি ওয়া আমীনাহু আলাল আসরারি আবা বাকরিনিস সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনকা ওয়া আরদাক। জাযাকাল্লাহু আন উম্মাতি সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লামা খায়রাল জাযা।

অর্থ: হে আল্লাহর রাসূলের খলীফা! তাঁর গুহাসঙ্গী, সফরসমূহের সহযাত্রী এবং গোপনীয় বিষয় সমূহের বিশ্বস্ত রক্ষক আবু বাকর সিদ্দীক! আপনার প্রতি দরুদ ও শান্তি বর্ষিত হোক। আল্লাহ আপনার ব্যাপারে সন্তুষ্ট হন এবং আপনাকে সন্তুষ্ট করুন। সাইয়্যেদিনা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লামের উম্মাতের পক্ষ হতে আল্লাহ তা’আলা আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন।

Short Version:

আসসালামু আলাইকা ইয়া আবু বাকর (রা:)

হযরত উমার (রা:)—এর মাজারের সামনে দাঁড়িয়ে পড়বেন:

Long Version:

উচ্চারণ: আসসালামু আলাইকা ইয়া আমীরাল মু’মিনীনা উমারুল ফারুক আল্লাযী আআযযাল্লাহু বিহিল ইসলাম, ইমামাল মুসলিমীনা মারদিয়্যান ওয়া হাইয়ান ওয়া মাইয়্যিতান রাদিয়াল্লাহু আনকা ওয়া আরদাকা জাযাকাল্লাহু আন উম্মাতি সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা খাইরা।

অর্থ: অসংখ্য সালাম আপনার প্রতি হে মু’মিনগনের নেতা উমার ফারুক! যার দ্বারা আল্লাহ তা’আলা দীন ইসলামের সম্মান বর্ধিত করেছেন। যিন্দা—মূর্দা সকল মুসলমানের স্বীকৃত নেতা! আল্লাহ তা’আলা আপনার প্রতি রাযী হোন এবং আপনাকে রাযী করুন। সাইয়্যিদিনা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লামের উম্মাতের পক্ষ হতে আল্লাহ তা’আলা আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন।

যতদিন মদিনায় অবস্থানের সুযোগ হয় এইরূপ যিয়ারত, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামা’আতে আদায়, আসহাবে সুফফার জায়গায়, মসজিদের সর্বত্র এবং বিশেষত: বেহেশতের টুকরার সকল খাম্বার গোড়ায় নামাজ ও দু’আ—দরুদ—মুনাজাত করবেন। যত দরুদ জানা আছে বা পড়া সম্ভব হয় সর্বপ্রকার দরুদ ও দু’আর জন্যই তো আল্লাহর নবীর সামনে হাযিরী! এই সুযোগ যেন হেলায় নষ্ট না হয়।

Short Version:

আসসালামু আলাইকা ইয়া ওমর (রা:)

অতঃপর আল্লাহ তাআলার ফেরেশতাদের উপর সালাম দিয়ে বলুন:

উচ্চারণ: আসসালামু আলাইকা ইয়া সাইয়্যিদানা জিবরাঈল, আসসালামু আলাইকা ইয়া সাইয়্যিদানা মীকাঈল, আসসালামু আলাইকা ইয়া সাইয়্যিদানা ইসরাফীল, আসসালামু আলাইকা ইয়া সাইয়্যিদানা আযরাঈল, আসসালামু আলাইকুম ইয়া মালায়িকা—তাল্লাহিল মুকাররাবীনা মিন আহলিস সামাওয়াতি ওয়াল আরদীনা কাফফাতান ‘আ—স্মাতান, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।

অর্থ: সালাম তোমার উপর হে আমাদের সরদার জিবরাঈল! সালাম তোমার উপর, হে আমাদের সরদার মীকাইল! সালাম তোমার উপর, হে আমাদের সরদার ইসরাফীল! সালাম তোমার উপর, হে আমাদের সরদার আযরাঈল! সালাম তোমাদের উপর হে আল্লাহর প্রিয় ফেরেশতাগণ! যারা আসমানে আছ আর দুনিয়ায় আছ সকলের উপর। আর প্রত্যেকে উপর সালাম, আল্লাহর রহমত ও বরকত নাযিল হোক।

জান্নাতুল বাকী

সম্ভব হলে ‘রওযাতুম মিন রিয়াদিল জান্নাত’ অর্থাৎ নবীজী (স:)—এর রওযা শরীফ ও মিম্বর শরীফের মধ্যবর্তী স্থানে দুই রাকাআত নামাজ পড়ুন ও কাকুতি মিনতি করে দু’আ করুন।

অতঃপর জান্নাতুল বাকী কবরস্থানে যেয়ে সবার আগে হযরত উসমান ইবনে আফফান (রা:)—এর পবিত্র মাযার যিয়ারত করে পড়ুন :

উচ্চারণ: আসসালামু আলাইকা ইয়া সাইয়্যেদানা উসমানাবনা আফফান। আসসালামু আলাইকা ইয়া মানিসতাহয়াত মিনকা মালাইকাতুর রাহমান । আসসালামু আলাইকা ইয়া মানযাইয়্যানাল কুরআন বিতিলাওয়াতিহী ওয়া নাওওয়ারাল মিহরাবা বি—ইমামাতিহি ওয়া সিরাজাল্লাহি তা’আলা ফিল জান্নাহ। আসসালামু আলাইকা ইয়া সা—লিসাল খুলাফাইর রাশিদীনা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা ‘আনকা ওয়া আরদাকা আহসানাররিদা ওয়া জা’আলাল জান্নাতা মানযিলাকা ওয়া মাসকানাকা ওয়া মাহাল্লাকা ওয়া মা—ওয়াকা, আসসালামু ‘আলাইকা ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।

অর্থ: সালাম তোমার উপর, হে আমাদের সরদার আফফানের পুত্র উসমান। সালাম তোমার উপর যাকে আল্লাহর ফেরেশতাগণও সমীহ করেছেন। সালাম তোমার উপর, যার তিলাওয়াত কুরআনকে অলংকৃত করেছে, যার ইমামত মেহরাবকে আলোকিত করেছে, আর যে বেহেশতে হয়েছে আল্লাহর প্রদীপ। সালাম তোমার উপর, হে খুলাফায়ে রাশেদিনের তৃতীয় জন! আল্লাহ তোমাকে রাযী আর খুশি করেছেন চমৎকারভাবে, জান্নাতে করেছেন তোমার গন্তব্যস্থল, আবাস আর আশ্রয়। বর্ষিত হোক তোমার উপর শান্তি এবং আল্লাহর করুণা আর বরকত।

তারপর সম্ভব হলে জান্নাতুল বাকির অন্যান্য মাজারেও ফাতিহা আর সালাম পড়ুন ।

আমার হজ্ব আমার দোয়া

Page 124

নিচের দোয়াসমূহ অথবা ইহার মধ্য হতে যত দূর সম্ভব তাওয়াফে, সায়ীতে, আরাফায় মিনায়, মুজদালিফায় ও অন্যান্য স্থানে পড়ুন :

লা—ইলাহা ইলালাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ইউহয়ি ওয়া ইউমিতু বিয়াদিহিল খাইরু, ওয়া হুয়া আলা কুলি শাইয়িন ক্বাদির। (Previously added)

Page 125

তওবাঃ

আস্তাগ ফিরুল্লাহা রাব্বি মিনকুলি যামবিউ ওয়াতুবু ইলাইহে, লা—হাওলা ওয়ালা কু’য়াতা ইলা বিলাহিল আলিয়িল আযীম। (Previously added)

বান্দাদের জন্য আল্লাহ তা’য়ালার শেখানো কিছু দোয়াসহ অন্যান্য দোয়া:

১.রাব্বানা আতিনা ফিদদুনইয়া হাসানাতাওঁ ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাওঁ ওয়াকিনা আযাবান্নার।

২.ফাতিরিশ সামাওয়াতি অল আরদি আনতা অলিয়্যি ফিদদুনইয়া অল আখিরাতি তাওয়াফফানী মুসলিমাওঁ অল হিকনী বিসসালিহীন।

৩.রাব্বিজ আ’লনী মুকীমাস সালাতি অমিন জুররীয়্যাতী রাব্বানা অ তাকাব্বাল দোয়ায়ি, রব্বানাগফিরলী অলিওয়ালিদ্যায়া অলিলমু’মিনী না ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব।

আপনাদের যদি এরকম আরো তথ্যবহুল পোস্ট এর প্রোয়োজন হয় তাহলে আমাকে ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে ফলো করতে পারেন। নিচে লিংক দেয়া আছে।

ধন্যবাদ……….!

This Post PDF Download LInk

PDF Download Link- 1

PDF Download Link- 2

Exit mobile version