Everything related to salam

সালাম সংক্রান্ত সকল কিছু | Everything related to salam _ Best Post 2024

সালাম সংক্রান্ত সকল কিছু | Everything related to salam _ Best Post 2024

সালামের সূচনা

১। হাম্মাম ইবনু মুনাব্বিহ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন (রহঃ), আবু হুরাইরাহ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি (রাযিঃ) ই যে-ওয়াসাল্লাম হতে কিছু হাদীস বর্ণনা করেছেন। এর মধ্যে একটি হলো এ, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা আদম কে তার নিজ আকৃতিতে সৃষ্টি ক (আঃ)রেছেন। তার দৈর্ঘ্য হলো ষাট হাত। সৃষ্টির পর তিনি তাকে বললেন, যাও এদেরকে সালাম করো। সেখানে একদল ফেরেশতারা বসা ছিলেন।

সালামের জবাবে তারা কি বলে তা খুব মনোযোগ সহকারে শুনো। কেননা তোমার এবং তোমার বংশধরদের অভিবাদন হবে এই। বর্ণনাকারী বলেন- অতঃপর তিনি এগিয়ে গেলেন ও বললেন, “আসসালামু আলাইকুমজবাবে তারা বললেন।”, “আসসালামু ‘আলাইকা ওয়ারহমাতুল্লাহতারা ওয়ারহমাতুল্লাহ বাড়িয়ে বলেছেন। অবশেষে তিনি বললেন ।”, যে লোক জান্নাতে যাবে সে আদম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লা) এর আকৃতি বিশিষ্ট হবে। তার দৈর্ঘ্য হবে ষাট হাত। তিনি (আঃ)মবলেন (, তারপর আদম এর পর থেকে আজ পর্যন্ত মানুষ ক্রমশই খাটো হয়ে আসছে। (আঃ)

মুসলিমঃ ৭০৫৫

সালাম সংক্রান্ত সকল কিছু | Everything related to salam _ Best Post 2024

সম্পূর্ণ সালাম, সালাম এর সঠিক উচ্চারণ, সালাম দেওয়া কি সুন্নাত, সালাম দেওয়া কি ওয়াজিব, সালাম দেওয়ার সঠিক নিয়ম, সালামের জবাব, সালামের উত্তর বাংলা, সালাম দেওয়ার নিয়ম, salamer uttor diya ki, সালামের উত্তর কি, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, salamer uttor bangla, ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ, সালাম দেওয়া কি সুন্নত, salam dew, salam dewa ki, সালাম, সালাম, সালাম দেওয়া কি, salam, সালাম দেওয়া কি, সালাম সম্পর্কে হাদিস, সালাম কী

Keyword
Everything related to salam

২ । আবূ হুরাইরাহ হতে বর্ণিত (রাযিঃ), তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সেই সত্তার শপথ যার হাতে আমার প্রাণতোমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না!, যে পর্যন্ত না ঈমানদার হবে (তোমরা), আর ঈমানদার হতে পারবে না, যে পর্যন্ত না পরস্পর ভালোবাসা স্থাপন করবে। আমি কি এমন একটি কাজের কথা তোমাদেরকে বলে দিব না, যখন তোমরা তা করবে, পরস্পর ভালোবাসা স্থাপিত হবে? তোমরা একে অপরের মধ্যে সালামের প্রসার ঘটাও।

তিরমিযিঃ ২৬৮৮

৩। আবূ উমামাহ্ হতে বর্ণিত (রাযিঃ), তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করা হল-, হে আল্লাহর রাসূলদু!’জন লোকের মধ্যে সাক্ষাৎ হলে কে প্রথম সালাম দিবে? তিনি বললেনঃ তাদের মধ্যে যে ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলার বেশি নিকটবর্তী ।

তিরমিযিঃ ২৬৯৪

৪ । আব্দুল্লাহ ইবনু আমর সূত্রে বর্ণিত। এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলা (রাঃ)ইহি ওয়াসাল্লামকে প্রশ্ন করলো- ইসলামের কোনো দিকটি উত্তম? তিনি বললেনঃ তোমার পরিচিত ও অপরিচিতজনকে তুমি খানা খাওয়াবে এবং সালাম দিবে।

আবু দাউদঃ ৫১৯৪

৫। আবূ ইউসুফ আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ”হে লোক সকলতোমরা সালাম প্রচার কর!, (ক্ষুধার্তকেঅন্নদান কর (, আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখ এবং লোকে যখন ঘুমিয়ে থাকে (রাতে), তখন তোমরা নামায পড়। তাহলে তোমরা নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে জান্নাতে প্রবেশ করবে।”

রিয়াদুস সালেহীনঃ ৮৫৩

আগে সালাম দেয়া

৬। আবূ উমামাহ সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন (রাঃ), রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মানুষের মধ্যে আল্লাহর নিকট সর্বাধিক উত্তম ঐ ব্যক্তি, যে আগে সালাম দেয়।

আবু দাউদঃ ৫১৯৭

সালাম দেয়ার নিয়ম

৭ । ইমরান ইবনু হুসাইন সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন (রাঃ), এক লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে – বললো, আসসালামু আলাইকুম। তিনি তার জবাব দিলেন। লোকটি বসলো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ দশ নেকি। এরপর আরেকজন এসে বললো, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনুরূপ জবাব দিলেন। লোকটি বসলো। তিনি বললেনঃ বিশ নেকী। অতঃপর আরেকজন এসে বললো, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতাল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তারও জবাব দিলেনঃ লোকটি বসলো। তিনি বললেনঃ ত্ৰিশ নেকি।

আবু দাউদঃ ৫১৯৫

৮। জাবির ইবনু আবদুল্লাহ হতে বর্ণিত (রাযিঃ), তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কথা- বার্তা বলার আগেই সালাম বিনিময় হবে

তিরমিযিঃ ২৬৯৯

৯। ইমরান ইবনু হুসাইন হতে বর্ণিত আছে যে (রাযিঃ), রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট একজন – লোক এসে বলল, আসসালামু আলাইকুম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ দশ তারপর অন্য এক ।(নেকী) লোক এসে বলল, আসসালামুআলাইমুক ওয়া রহমাতুল্লাহ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ বিশ। অতঃপর আরেক লোক এসে বলল, আসসালামু আলাইমুক ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ত্রিশ।

তিরমিযিঃ ২৬৮৯

১০। আমর ইবনু শু’আইব হতে পর্যায়ক্রমে তার বাবা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত (রাহঃ), রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বিজাতির অনুকরণকারী ব্যক্তি আমাদের দলভুক্ত নয়। তোমরা ইয়াহুদীনাসারাদের অনুকরণ করো – না। কেননা ইয়াহুদীগণ আঙ্গুলের ইশারায় এবং নাসারাগণ হাতের ইশারায় সালাম দেয়।

তিরমিযিঃ ২৬৯৫

১১। আবূ হুরাইরাহ সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন (রাঃ), রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সালাম দিবে ছোট বড়কে, পথচারী বসা ব্যক্তিকে এবং কম সংখ্যক অধিক সংখ্যককে।

আবু দাউদঃ ৫১৯৮

১২। আবূ হুরাইরাহ হতে বর্ণিত আছে যে (রাযিঃ), নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আরোহী পদচারীকে, পদচারী বসা ব্যক্তিকে এবং অল্প সংখ্যক বেশি সংখ্যককে সালাম দিবে। ইবনুল মুসান্না বর্ণিত হাদীসে আরো আছেঃ বয়সে নবীনরা প্রবীণদেরকে সালাম করবে।

তিরমিযিঃ ২৭০৩

১৩। আবূ হুরাইরাহ সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন (রাঃ), রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আরোহী ব্যক্তি সালাম দিবে পদব্রজে যাতায়াতকারীকে। অতঃপর বর্ণনাকারী পুরা হাদীস বর্ণনা করেন।

আবু দাউদঃ ৫১৯৯

১৪। আবূ হুরাইরা সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন (রাঃ), তোমাদের কেউ যখন তার ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে, তখন সে যেন তাকে সালাম দেয়। অতঃপর দু’জনের মাঝে যদি গাছ, দেয়াল বা পাথর আড়াল হয়ে যায় এবং তারপর আবার সাক্ষাৎ হয়, তাহলেও যেন তাকে সালাম দেয়৷

আবু দাউদঃ ৫২০০

১৫। আলী ইবনু আবূ সূত্রে বর্ণিত। (রাঃ) তালিব-ইমাম আবূ দাঊদ বলেন (রহঃ), হাসান ইবনু আলী এটি মারফুভাবে (রাঃ) বলেন (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বর্ণনা করেছেন। তিনি, পদ অতিক্রমকালে দলের একজন যদি সালাম দেয় তাহলে তা সকলের জন্য যথেষ্ট। এমনিভাবে উপবিষ্টদের একজন তার উত্তর দিলে তা সকলের জন্য যথেষ্ট।

আবু দাউদঃ ৫২১০

বাড়িতে প্রবেশের সময় সালাম

হে মুমিনগণ, তোমরা নিজদের গৃহ ছাড়া অন্য কারও গৃহে প্রবেশ করো না, যতক্ষণ না তোমরা অনুমতি নেবে এবং গৃহবাসীদেরকে সালাম দেবে। এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর।(সূরা নূরঃ ২৪) ১৬। আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ”হে বৎসতোমার বাড়িতে যখন তুমি প্রবেশ করবে!, তখন সালাম দাও, তাহলে তোমার ও তোমার পরিবারের জন্য তা বরকতময় হবে।”

রিয়াদুস সালেহীনঃ ৮৬৬

শিশুদের সালাম দেয়া

১৭ । আনাস সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন (রাঃ), একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের শিশুদের নিকট এসে পৌঁছলেন। আমিও শিশু হিসেবে তাদের সঙ্গে ছিলাম। তিনি আমাদেরকে সালাম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দিলেন। এরপর তিনি আমার হাত ধরে আমাকে একটি চিঠি দিয়ে পাঠালেন। তিনি একটি দেয়ালের পাশে ছায়ায় বসে থাকলেন, যতক্ষণ না আমি তাঁর নিকট ফিরে আসি।

আবু দাউদঃ ৫২০৩

মহিলাদের সালাম দেয়া

১৮। আসমা বিনতু ইয়াযীদ জানিয়েছেন (রাঃ), নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের একদল মহিলার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের সালাম দিয়েছেন।

আবু দাউদঃ ৫২০৪

কোন সভায় মুসলিম অমুসলিম থাকলে

১৯। উসামা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন সভা অতিক্রম করেন, যার মধ্যে মুসলিম, মুশরিক ও ইয়াহুদীর সমাগম ছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে সালাম করলেন। (মূর্তিপূজক) (বুখারী ও মুসলিম)

রিয়াদুস সালেহীনঃ ৮৭৩

সালামের জওয়াব দেয়ার নিয়ম

আর যখন তোমাদেরকে সালাম দেয়া হবে তখন তোমরা তার চেয়ে উত্তম সালাম দেবে। অথবা জবাবে তাই দেবে। নিশ্চয় আল্লাহ সব বিষয়ে পূর্ণ হিসাবকারী। (সূরা নিসাঃ ৮৬)

২০। আবূ হুরাইরাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন (রাযিঃ), রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এক মুসলিমের প্রতি অপর মুসলিমের হক পাঁচটি। অপর বর্ণনায় আবদ ইবনু হুমায়দ বর্ণিত। তিনি বলেন (রাযিঃ) আবূ হুরাইরাহ (রহঃ), রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পাঁচটি ব্যাপারে মুসলিমের জন্যে তার ভাইয়ের সম্পর্কে ওয়াজিব। ১ সালামের উত্তর দেয়া, ২ আলহামদু লিল্লাহ” তার) হাঁচিদাতাকে .’ বলার উত্তরেইয়ারহামুকাল্লাহ বলে দু (‘আ করা, ৩ দাওয়াত কবুল করা, ৪ অসুস্থকে দেখতে যাওয়া এবং ৫ .জানাযার সঙ্গে শারীক হওয়া।

মুসলিমঃ ৫৫৪৩

২১। আবূ জুরায়্যি আলসূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন (রাঃ) হুজাইমী-, একদা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম- এর নিকট এসে বললাম, ‘আলাইকাস সালামু ইয়া রাসূলাল্লাহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ! ‘আলাইকাস সালাম বলো না। কারণ এটা হলো মুর্দার প্রতি সালাম।

আবু দাউদঃ ৫২০৯

২২। আবূ তামীম আল-হুজাইমী (রাযিঃ) হতে তার বংশের জনৈক ব্যক্তির সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে খোঁজ করে না পেয়ে বসে রইলাম। এরই মধ্যে আমি তাকে একদল লোকের মাঝে দেখতে পেলাম, কিন্তু আমি তাকে চিনতাম না। তাদের মাঝে তিনি মীমাংসা করছিলেন। কাজ শেষে কয়েকজন তার সাথে উঠে দাঁড়ালো এবং বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি ইহা দেখে তাকে বললাম, আলাইকাস সালামু ইয়া রাসূলুল্লাহ আলাইকাস সালামু ইয়া রাসূলুল্লাহ আলাইকাস সালামু ইয়া রাসূলুল্লাহ! তিনি বললেনঃ “আলাইকাস সালামু হল মৃত ব্যক্তির জন্য সালাম। এ কথাটি তিনি তিন বার বললেন।

তারপর তিনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেনঃ কোন ব্যাক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের সাথে সাক্ষাতের সময় যেন বলে, “আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার সালামের উত্তর দিলেনঃ ওয়া ‘আলাইকা ওয়া রহমাতুল্লাহ, ওয়া ‘আলাইকা ওয়া রহমাতুল্লাহ, ওয়া আলাইকা ওয়া রহমাতুল্লাহ। তিরমিযিঃ ২৭২১

আহলে কিতাবীদের সালাম দেয়া

২৩। আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’কিতাবধারীরা যখন তোমাদেরকে সালাম দেয় (খ্রিষ্টানরা-ইয়াহুদী), তখন তোমরা জবাবে বল, ‘ওয়া আলাইকুম।” (বুখারী ও মুসলিম)

রিয়াদুস সালেহীনঃ ৮৭২

২৪। আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইয়াহুদীদের কেউ তোমাদের সালাম দেয়ার সময় বলে যে, ”আসসামু আলাইকুম” (অর্থঃ তোমাদের মৃত্যু হোক)। জবাবে তোমরা বলবেঃ ওয়া আলাইকুম (অর্থঃ তোমাদের উপরও তাই)।

ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ইমাম মালিক (রহঃ) আব্দুল্লাহ ইবনু দীনার সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। সুফিয়ান সাওরী আব্দুল্লাহ ইবনু দীনার সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তাতে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ (জবাবে তোমরা বলবেঃ ওয়া আলাইকুম)।

আবু দাউদঃ ৫২০৬

২৫। সুহাইল ইবনু আবূ সালিহ সূত্রে বর্ণিত। তিনি (রহঃ) বলেন, আমি আমার পিতার সঙ্গে সিরিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম। তারা গির্জাসমূহের পাশ দিয়ে অতিক্রমকালে তাতে অবস্থানরত খৃষ্টানদের সালাম দিলেন। আমার পিতা বললেন, তোমরা আগে তাদেরকে সালাম দিও না। আবূ হুরাইরাহ আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন যে (রাঃ), রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা আগে তাদেরকে সালাম দিবে না। রাস্তায় তাদের সঙ্গে (আহলে কিতাবদেরকে) তোমাদের সাক্ষাৎ হলে তাদের রাস্তার সংকীর্ণ দিকে চলে যেতে বাধ্য করবে।

আবু দাউদঃ ৫২০৫

মজলিশে উপস্থিত হওয়ার সময় ও বিদায়ের সময় সালাম দেয়া

২৬। আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোন কথা বলতেন, তখন তা তিনবার বলতেন; যাতে তাঁর কথা বুঝতে পারা যায়। আর যখন কোন গোষ্ঠীর কাছে আসতেন তখনও তিনি তিনবার করে সালাম পেশ করতেন। (বুখারী)

রিয়াদুস সালেহীনঃ ৮৫৭

২৭। আবূ হুরাইরাহ হতে বর্ণিত আছে যে (রাযিঃ), রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ কোন মাজলিসে উপস্থিত হলে সে যেন সালাম করে, তারপর তার ইচ্ছা হলে বসে পড়বে। তারপর সে যখন উঠে দাড়াবে, তখনো যেন সালাম করে। কেননা পরের সালামের চাইতে প্রথম সালাম বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়।

তিরমিযিঃ ২৭০৬

২৮। আবূ হুরাইরাহ সূত্রে (রাঃ) বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ মাজলিসে উপস্থিত হলে যেন সালাম দেয় এবং মাজলিস থেকে বিদায়ের সময়ও যেন সালাম দেয়। প্রথম সালাম শেষ সালামের চেয়ে বেশী জরূরী নয়।

আবু দাউদঃ ৫২০৮

ইস্তিঞ্জা অবস্থায় সালামের জওয়াব না দেয়া

২৯। ইবনু উমার হতে বর্ণিত (রাযিঃ), নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রস্রাবরত অবস্থায় একজন লোক তাকে – সালাম দিল। কিন্তু তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সালামের উত্তর দেননি ৷ ৷

তিরমিযিঃ ২৭২০

আপনাদের যদি এরকম আরো তথ্যবহুল পোস্ট এর প্রোয়োজন হয় তাহলে আমাকে ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে ফলো করতে পারেন। নিচে লিংক দেয়া আছে।

ধন্যবাদ……….!

Download This Article in PDF Format

সালাম সংক্রান্ত সকল কিছু

Download Link -1

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *