Watch and Learn BD

Investing in women for equality and development | সমতা ও উন্নয়নে নারীর জন্য বিনিয়োগ – Best Article 2024

Investing in women for equality and development _ সমতা ও উন্নয়নে নারীর জন্য বিনিয়োগ

আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৪

সমতা ও উন্নয়নে নারীর জন্য বিনিয়োগ

Investing in women for equality and development

সমতা উন্নয়নে নারীর জন্য বিনিয়োগ

“সমতা ও উন্নয়নে নারীর জন্য বিনিয়োগ”

Investing in women for equality and development _ সমতা ও উন্নয়নে নারীর জন্য বিনিয়োগ

সমতা ও উন্নয়নে নারীর জন্য বিনিয়োগ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ‘নারী’ কবিতার এই চরণগুলোর মাধ্যমে বোঝা যায় যে,সমাজে নারীর অবদান কতটুকু।শুধু বাংলাদেশ-ই নয়,বরং  বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের ধারায় নারীর অংশগ্রহণ এক অবিচ্ছেদ্য বিষয়।বিশ্বের মহান কল্যাণে নারী-পুরুষের সমান অবদান রয়েছে। নারীকে বাদ দিয়ে কখনো কোন উন্নয়ন সম্ভব নয়।

নারী এক অপরিমেয় শক্তির প্রতীক,জীবনের শ্রষ্ঠা,সমাজের স্তম্ভ।বর্তমানে নারী যে হেলা খেলার পাত্রী নন তাঁর জ্বলন্ত প্রমাণ হলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি মানবতার মা,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা।তার দম্ভ শাসন বাংলাদেশকে সোনার বাংলাতে পরিণত করেছে।

মালালা ইউসুফজাই দুই দশক ধরে বাংলাদেশের কন্যাশিশু ও নারীদের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে।তিনি বলেছেন,নারী-পুরুষের সমান অংশীদারিত্ব ছাড়া কোন সংগ্রাম সফল হতে পারে না। জগতে দুটি শক্তি আছে, একটি কলম আরেকটি তলোয়ার।এ দুটির চেয়েও একটি দৃঢ় শক্তি আছে যার নাম ‘নারী’।মালালা ইউসুফজাই ছিলেন একজন অগ্নিকন্যা।তিনি কোন কিছুতেই দমে যেতেন না।উদাহরণস্বরূপঃ দূরন্ত বুলেট যখন তাঁর শরীর ভেদ করে যায় তখনও তিনি তাঁর মনোবলে দৃঢ় ছিলেন।এই অগ্নিকন্যা সারা বিশ্বের সকল নারীর জন্য অনুপ্রেরণা। “শিক্ষাই নারীর ক্ষমতায়নের মূল চাবিকাঠি” —মালালা ইউসুফজাই

নারী সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন,

নারীর মধ্যে থাকা এসব মহৎ গুণাবলী দ্বারা তারা খুব সহজেই সবাইকে আপন করে নিতে পারে।

জাতিসংঘের প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দেখা যায় যে,পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার অর্ধেক এবং মোট শ্রমশক্তির এক-তৃতীয়াংশ হচ্ছে নারী।

| Investing in women for equality and development | সমতা ও উন্নয়নে নারীর জন্য বিনিয়োগ – Best Article |

মোট শ্রমঘণ্টার দুই-তৃতীয়াংশ তারা কাজে নিয়োজিত থাকে।অথচ মোট মজুরির মাত্র এক-দশমাংশ তাদের ভাগ্যে জোটে এবং সম্পত্তির কথা ধরলে মাত্র একশ ভাগের এক ভাগ সম্পদ নারীরা পেয়ে থাকে।নারী উন্নয়ন সম্পর্কিত আলোচনায় আমরা দেখি,পৃথিবীর অসম নাগরিকদের মধ্য সবচেয়ে অসম ও অবহেলিত হচ্ছে নারীসমাজ।তাদের প্রতি এখনও অস্বীকৃতি ও বৈষম্য বিরাজমান।অথচ একটি দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন সর্বক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমানভাবে অংশগ্রহণ।বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ কবিতার কয়েকটি চরণ তুলে ধরা হলোঃ

অতীতকালে নারীদেরকে দাসী হিসেবে বিবেচনা করা হতো।সমাজে তারাই ছিল সবচেয়ে বেশি অবহেলিত ও বঞ্চিত। কিন্তু বর্তমানে সমাজ,রাষ্ট্র ও বিশ্বের উন্নয়নে পুরুষের যতটুকু ভূমিকা রয়েছে নারীর ও ততটুকু ভূমিকা রয়েছে। নারী সমাজের অর্ধেক এবং তাদের অংশগ্রহণ ছাড়া সমাজের টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়।

বর্তমানে রাজনৈতিক শীর্ষস্হান থেকে শুরু করে ব্যবসা,সংস্কৃতি ও গণযোগাযোগ মাধ্যমে নারীর এখন দৃপ্ত পদচারণ।জাতীয় সংসদে নারী জনপ্রতিনিধির সংখ্যা ১৯৯০ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ১০ শতাংশ দ্বিগুণ হয়ে ২০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।নারীর স্বাস্থ্যগত উন্নতিও পরিলক্ষিত হয়েছে।নারীর আয়ুষ্কাল ১৯৮০ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ৫৪ বছর থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৭০ বছর হয়েছে। মাধ্যমিক স্কুলে মেয়েদের ভর্তির ক্ষেত্রে  এসেছে চমকপ্রদ সাফল্য।স্কুলের সংখ্যা বৃদ্ধি,অভাবগ্রস্ত মেয়েদের স্কুলমুখী করতে বৃত্তি প্রদান এবং শিক্ষাখাতে চলমান বিনিয়োগ বাংলাদেশে একটি ইতিবাচক বৃত্ত গঠনে সাহায্য করেছে।সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ও সুশিক্ষিত নারী শ্রমবাজারের বড় সম্পদ।নারীদের কাজের সুযোগ বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে পোশাক শিল্পের গুরুত্ব অপরিসীম।যেখানে ৪০ লক্ষ জনশক্তির ৮০ শতাংশ-ই নারী।নারীদের এই সাফল্য শুধু একজনের জন্য নয় বরং সকলের জন্য অনুপ্রেরণামূলক।এ সম্পর্কে Gloriya Steinem বলেছেন,

একটা সুশিক্ষিত সমাজ,রাষ্ট্র বা জাতি গঠনে একজন শিক্ষিত মা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।শিক্ষা হলো একটি আলোর মতো যা সর্বক্ষেত্রে দ্যুতি ছড়ায়।পরিবারের কেন্দ্রবিন্দু যদি হয় একজন শিক্ষিত নারী তবে সেই পরিবারের সুসন্তানেরা একটি আদর্শ সমাজ গঠনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। এ প্রসঙ্গে নেপোলিয়ন বোনাপার্টের একটি বিখ্যাত উক্তি হলোঃ 

ছয় মাস আগে কয়েকটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানেরা দারিদ্র্য বিমোচন ও টেকসই উন্নয়নের জন্য ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা স্হির করেন,যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০(সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস বা এসডিজি) নামে পরিচিত।এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য নারী ও কন্যাশিশুর উন্নয়নের লক্ষ্যে গৃহীত উদ্যােগগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।যে মেয়েরা শিক্ষা,পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত,যেসব নারী নিজেদের চাষের জমির মালিক হতে চান এবং অর্থনৈতিক সেবা পেতে চান, এই লক্ষ্যমাত্রা তাদের সব স্বপ্ন পূরণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বাংলাদেশের সঙ্গে সঙ্গে ডেনমার্ক, ইউএনএফপিএ এবং ইউএন উইমেন ২০৩০ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করার প্রয়াসে স্থিতিশীল সমাজব্যবস্হা গঠনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ,যেখানে প্রত্যেক নারী নিজেই নিজের ভাগ্য নির্ধারণ  করবেন এবং বৈষম্যমুক্ত ও স্বাধীন জীবনযাপনের সুযোগ পাবেন।নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেন বলেছেন, “দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতির পেছনে রয়েছে নারীদের ক্ষমতা”।

আজকে বাংলাদেশের যতটুকু সামাজিক অগ্রগতি ও অচলায়তন ভাঙ্গার যে দৃষ্টান্ত তা নারীর ঐতিহাসিক ও ধারাবাহিক সংগ্রামে সমৃদ্ধ। শুধু সামাজিক অগ্রগতি-ই নয়,আধুনিক বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির পেছনে যতগুলো ক্ষেত্র রয়েছে নারী তার পেছনের প্রধানতম অনুঘটক।কৃষিক্ষেত্রে  নারী সমাজের ভূমিকা সবার জানা।যে ক্ষুদ্রঋণ কে গ্রামীণ অর্থনীতির প্রাণশক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয় তার শুরুই হয় নারীদের হাত ধরে ও তার দক্ষ ব্যবস্হাপনায়।রপ্তানির ৮০ শতাংশ পোশাক খাত দাঁড়িয়ে আছে নারীদের দক্ষতা ও শ্রমশক্তির ওপর।যদিও নারীরা এক্ষেত্রে যোগ্য প্রতিদান পান না।আর এই রপ্তানিই জোগান দেয় মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা।যা অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। 

| Investing in women for equality and development | সমতা ও উন্নয়নে নারীর জন্য বিনিয়োগ – Best Article |

 জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘জাগো নারী জাগো বহ্নিশিখা’ গানটি সমগ্র বিশ্বের সকল জাতির ‘জাতীয় গান বলে’ আমি মনে করি।

প্রতিবছর ৮মার্চ বিশ্বজুড়ে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস।দিবসটি পালনের মধ্য দিয়ে বিশ্বজুড়ে উচ্চারিত হয় নারী-পুরুষ সমতা এবং নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য নিরসনের প্রত্যয়।দিবসটির সূত্রপাত হয় ১৮৫৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের একটি পোশাক কারখানার নারী শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি,শ্রমঘন্টা ১৬ থেকে কমিয়ে ৮ ঘন্টা নির্ধারণ এবং কর্মপরিবেশ উন্নয়নসহ নানা দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলনের মধ্য দিয়ে।পরবর্তীকালে সেই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের নানা জায়গায়। জাতিসংঘ প্রথমবারের মতো ১৯৭৫ সালের ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করে।এরপর থেকে প্রতিবছরই দিনটি নানা আয়োজনে পালিত হয়ে আসছে।নারীর মৌল অধিকারগুলোকে মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি অর্জনের ব্যাপারেও জাতিসংঘ প্রচেষ্টা চালায়।এ লক্ষ্যে জাতিসংঘ ১৯৭৫ থেকে ১৯৮৫ সালকে ‘নারী দশক’ হিসেবে ঘোষণা করে।জাতিসংঘের সহযোগিতায় মেক্সিকো,কোপেনহেগেন,নাইরোবি এবং বেইজিং-এ অনুষ্ঠিত হয় চারটি বিশ্ব নারী সম্মেলন।সর্বশেষ আর্ন্তজাতিক নারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় চীনের রাজধানী বেইজিং-এ।বেইজিং নারী সম্মেলনের শ্লোগান ছিল ‘নারীর চোখে বিশ্ব দেখুন’।সম্মেলনে জাতিসংঘে নারীর মর্যাদা সংক্রান্ত কমিশনের প্রধান ফিলিপাইনের প্যাট্রিসিয়া লিকিউযানান বলেন, “নারীরা মাত্রাতিরিক্ত স্বাধীনতা ভোগ করবে এ আশংকা থেকে প্রজনন,স্বাস্থ্য, যৌনতার মতো অনেকগুলো বিষয় বিতর্কিত হয়েছে।যার মাধ্যমে রক্ষণশীল মানসিকতার লক্ষণ দেখা গেছে”।

নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ সরকার নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।যেমন,অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে নারীর ব্যাপকভিত্তিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জেন্ডার রেসপন্সিভ বিনিয়োগ ও বাজেট প্রণয়ন;নারী উন্নয়ন সংক্রান্ত নীতিগত নির্দেশিকা প্রণয়ন;সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সৃষ্টি;জীবনমুখী প্রশিক্ষণ প্রদান;ক্ষুদ্র-ঋণ প্রাপ্তির সুযোগ ও নারী বান্ধব ব্যাংকিং ব্যবস্হা ইত্যাদি।এছাড়াও তিনি  ‘আশ্রয়ণ’, ‘একটি বাড়ি ও একটি খামার’ ও ‘জয়িতা’সহ বাংলাদেশে নারীদের সহযোগিতা,উৎসাহ ও প্রণোদনা প্রদানে বিভিন্ন প্রকল্প বা পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন।শিশু বিবাহ,যৌন নির্যাতন ও সহিংসতা রোধে এবং এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পুলিশী ও অন্যান্য সেবা পেতে ‘জয় মোবাইল অ্যাপস্’ এর কথাও তিনি উল্লেখ করেন।

| Investing in women for equality and development | সমতা ও উন্নয়নে নারীর জন্য বিনিয়োগ – Best Article |

তিনি বলেন, “ বাংলাদেশে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যন্ত নারী নেতৃত্ব রয়েছে। মোট সংসদ সদস্যের ২০ভাগ নারী।শিক্ষাখাতের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে বাংলাদেশ লিঙ্গ-সমতা অর্জন করেছে এবং নারী শিক্ষা অবৈতনিক করা হয়েছে।প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা-সহায়তা তহবিল থেকে ছাত্রীদের বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে”।

“নারীী ক্ষমতায়নেই দেশের উন্নয়ন” (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) 

বাংলাদেশে নারী শিক্ষা নিশ্চিত করা,অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা এবং সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করতে আইন প্রণয়নের পাশাপাশি সবক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে ‘জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১’ প্রণয়ন করেন।জাতীয় সংসদের স্পিকার পদে একজন নারীকে নির্বাচন করেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-ই প্রথম তার মন্ত্রীসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে নারীকে দায়িত্ব দেন।দুস্হ,অসহায় ও পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য ভিজিএফ,ভিজিডি,দুস্হ ভাতা, বয়স্কা ভাতা,মাতৃত্বকালীন ও গর্ভবতী মায়েদের ভাতা,অক্ষম মা ও স্বামী পরিত্যাক্তাদের জন্য ভাতা,বিধবা ভাতা,কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি প্রণয়ন করেছে শেখ হাসিনার সরকার।নারী উন্নয়নে ও ক্ষমতায়নে অবদান রাখায় গ্লোবাল উইমেন্স লিডারশিপ,প্ল্যানেট ফিফটি ফিফটি চ্যাম্পিয়ন,এজেন্ট অব চেঞ্জসহ নানাবিধ সম্মাননা অর্জন করেছেন শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেছেন, “নারীর ক্ষমতায়নে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান অনস্বীকার্য”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নারীদের যথার্থ মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় অর্থনৈতিক, সামাজিক, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী শিক্ষার বিস্তার,নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ সব ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছেন, “একটা মেয়ে যদি নিজে অর্থ উপার্জন করতে পারে এবং তার হাতে যদি কিছু টাকা থাকে বা আঁচলে যদি কামাই করে ১০টাকা বেঁধে নিয়ে আসতে পারেন তাহলে সমাজে-সংসারে এমনিতেই তার অবস্থানটা হবে।কেউ অবহেলা করতে পারবে না”।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশের সংবিধানের ১৯(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে নারীদের অংশগ্রহণ ও সুযোগের সমতা নিশ্চিত হয়েছে।

(৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবসের এই দিনে নারী উন্নয়নের রূপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য ক্ষুদ্র নিবেদন) 

সেই আদিকাল থেকে যুগে যুগে ইতিহাস সমৃদ্ধির তালিকায় নারীরাই সমাজে শীর্ষস্হান গ্রহণ করে এসেছে।নারীরাই সমাজের প্রকৃত স্থপতি।নারী হলো সকল শক্তির আধার।শুধু তাই নয়,বর্তমান সমাজে নারীরা আর কোনদিক দিয়েই পিছিয়ে নেই।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস নারীর অধিকার আদায়ের আন্দোলনের এক স্মারক দিবস।বর্তমানে আমরা যদি নারীর ন্যায্য অধিকার ও চাহিদা পূরণ করতে পারি, তবেই দিবসটির উদযাপন সার্থক হবে।বর্তমানে নারীরা আর কোনদিক দিক দিয়েই পিছিয়ে নাই।তারা পুরুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে এবং দেশের উন্নয়নে ভূমিকা পালন করছে।নারীদের সম্মান করা আমাদের কর্তব্য। 

পরিশেষে নারীর প্রতি সম্মান জানিয়ে একটি কবিতার মাধ্যমে শেষ করতে চাই-

ধন্যবাদ……….!

Exit mobile version