Obedience to the Imam

ইমামের আনুগত্য _ Obedience to the Imam | Best Post 2024

ইমামের আনুগত্য _ Obedience to the Imam | Best Post 2024

ইমামের আনুগত্য

১. আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) এর সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইমাম বা শাসক ঢাল স্বরূপ। তার নেতৃত্বে যুদ্ধ করা হয় এবং শত্রুর ক্ষতি থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায়। সে যদি তাকওয়া বা আল্লাহভীতি ও ন্যায় বিচারের ভিত্তিতে শাসনকার্য পরিচালনা করে, তবে তার জন্য সে পুরস্কৃত হবে। আর যদি ন্যায় ব্যতীত অন্য কিছু আদেশ করে তবে সে পাপের জন্য দায়ী হবে। (মুসলিম: ৪৬৬৬)

২. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নেতা ঢালস্বরূপ, তাঁর নির্দেশে যুদ্ধ করা হয়। (আবু দাউদ:২৭৫৭)

কে ইমাম হওযার অধিক যোগ্য

৩. আবূ মাসউদ আল আনসারী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন আমাদেরকে বললেনঃ যে সর্বাপেক্ষা বেশী কুরআনের পাঠক ও কুরআনী জ্ঞানের অধিকারী সে-ই কওমের (লোকজনের) ইমামাত করবে। সবাই যদি কুরআনের জ্ঞানের সমপর্যায়ের হয় সেক্ষেত্রে যে ব্যক্তি সুন্নাত সম্পর্কে অধিক পরিজ্ঞাত হবে সে-ই ইমামাত করবে। সুন্নাহর জ্ঞানেরও সবাই সমান হলে হিজরতে যে অগ্রগামী সে ইমামাত করবে। কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তির নিজস্ব প্রভাবাধীন এলাকায় ইমামাত করবে না কিংবা তার অনুমতি ছাড়া তার বাড়ীতে তার বিছানায় বসবে না। বর্ণনাকারী আশাজ্জ তার বর্ণনায় Laila (ইসলাম) শব্দের স্থানে (বয়স) শব্দ উল্লেখ করেছেন।(মুসলিম:১৪১৮)

ইমামের আনুগত্য _ Obedience to the Imam | Best Post 2024 , obedience to the imam, obedience to parents in islam, obedience to the prophets, obedience is the highest form of sacrifice, for obedience is better than sacrifice, obedience is important to god, hadith about obedience to husband, islam obedience to parents, Obedience to the Imam

Keyword
Obedience to the Imam

ইমামের আনুগত্য _ Obedience to the Imam | Best Post 2024

তিন জনের সফরে এক জনকে আমির মনোনায়ন

৪. আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তিন ব্যক্তি একত্রে সফর কলে তারা যেন নিজেদের মধ্য থেকে একজনকে আমীর বানায়। (আবু দাউদ:২৬০৮)

উত্তম শাসক

৫. আওফ ইবনু মালিক আশজা’ঈ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, তোমাদের সর্বোত্তম নেতা হচ্ছেন তারা যারা তোমাদেরকে ভালবাসেন এবং তোমরাও তাদেরকে ভালবাস। তোমরা তাদের জন্য দু’আ কর এবং তারাও তোমাদের জন্য দুআ করেন।

আর তোমাদের নিকৃষ্ট নেতা হচ্ছে তারা যাদেরকে তোমরা ঘৃণা কর এবং যারা তোমাদেরকে ঘৃণা করে এবং তোমরা তাদেরকে অভিশাপ দাও এবং তারাও তোমাদেরকে অভিশাপ দেয়। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রসূল! এ সময় আমরা কি তাদেরকে প্রতিহত করবো না? তিনি বললেন, না, যে যাবৎ তারা তোমাদের মধ্যে সালাত কায়িম রাখবে। তবে যার উপর কোন শাসক নিয়োগ করা হবে আর সে তাকে আল্লাহর কোন নাফরমানী করতে দেখবে তখন ঐ শাসক যতক্ষণ আল্লাহর নাফরমানীতে থাকবে ততক্ষণ তাকে ঘৃণা করতে থাকবে কিন্তু আনুগত্যের হাত গুটিয়ে নেবে না। (মুসলিম:৪৬৯৯)

৬. ‘আওফ ইবনু মালিক আল আশজা’ঈ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে ঐ শাসকই সর্বোত্তম, যাদের তোমরা ভালোবাসো এবং তারা তোমাদের ভালোবাসে। তোমরা তাদের জন্য দু’আ করো এবং তারাও তোমাদের জন্য দু’আ করে। আর তোমাদের মধ্যে ঐ শাসকই সর্বনিকৃষ্ট, যাদের প্রতি তোমরা ক্রোধান্বিত হও এবং তারাও তোমাদের প্রতি ক্রোধ ও শত্রুতা পোষণ করে। আর তাদের প্রতি তোমরা অভিসম্পাত করো এবং তারাও তোমাদের প্রতি অভিসম্পাত করে।

রাবী বলেন, তখন আমরা জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসূল! এমতাবস্থায় কি আমরা তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করব না (তবুও কি বায়’আতের উপর থাকব)? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ না, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তোমাদের মাঝে সালাত প্রতিষ্ঠা করে। (পুনরায় বললেনঃ) না, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তোমাদের মাঝে সালাত প্রতিষ্ঠা করে। সাবধান! যে ব্যক্তিকে তোমাদের প্রতি শাসক নিযুক্ত করা হয় আর তার মধ্যে যদি আল্লাহ তা’আলার নাফরমানি পরিলক্ষেত হয়, তাহলে তার সে নাফরমানির কাজটি তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের সাথে অপছন্দ কর, কিন্তু তার আনুগত্য থেকে পিছপা হবে না। (মেশকাত; ৩৬৭০)

খলিফাগণের হক আদায়

৭. আবূ হাযিম (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) এর সাথে পাঁচ বছর থেকেছি। আমি তার কাছে শুনেছি, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বনী ইসরাঈলদের পরিচালনা করতেন নবীগণ। তাদের মধ্যকার একজন নবী মৃত্যুবরণ করলে অপর একজন নবী তার স্থলাভিষিক্ত হতেন।

আমার পরে আর কোন নবী নেই বরং খলীফাগণ হবেন এবং তারা সংখ্যায় প্রচুর হবেন। তখন সাহাবীগণ বললেনঃ তাহলে আপনি (এ ব্যাপারে) আমাদেরকে কী আদেশ করেন? তিনি বললেনঃ যার হাতে প্রথম বাই’আত বা আনুগত্যের শপথ করবে, তারই আনুগত্য করবে এবং তাদেরকে তাদের হক প্রদান করবে, আল্লাহই তাদেরকে সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন তারা কতটুকু দায়িত্ব পালন করেছে। (মুসলিম:৪৬৬৭)

৮.ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন সালামাহ্ ইবনু ইয়াযীদ আল জু’ফী (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলেনঃ হে আল্লাহর নবী! আপনি আমাদেরকে এ ব্যাপারে কি নির্দেশ দেন, যদি আমাদের ওপর এমন শাসক চেপে বসে যারা আমাদের থেকে স্বীয় হক আদায় করে নেয়।

অথচ তারা আমাদের প্রতি হক আদায় করে না। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তাদের আদেশ মান্য করো এবং আনুগত্য করো। কেননা তাদের কর্তব্য তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করা। আর তোমাদের কর্তব্য তোমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করা। (মেশকাত; ৩৬৭৩)

ইমামের আনুগত্য _ Obedience to the Imam | Best Post 2024, Obedience to the Imam , ইমামের আনুগত্য , ইমাম

Keyword

আমিরের আনুগত্যের অঙ্গীকার

৯. ’আবদুল্লাহ্ ইবনু দ্বীনার (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, ’আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘উমার (রাঃ) ’আবদুল মালিক ইবনু মারওয়ানের বাই’আত করে লিখলেনঃ আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নাতের ভিত্তিতে আমার সাধ্যমত (আপনার নির্দেশ) শোনা ও মানার অঙ্গীকার করছি। (বুথারি ৭২৭২)

যে আমিরের আনুগত্য করে সে আল্লাহ ও তার রাসূলের আনুগত্য করে

১০. আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) এর সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করলো, সে আল্লাহর আনুগত্য করলো আর যে আমার অবাধ্যতা করলো সে আল্লাহর অবাধ্যতা করলো। যে ব্যক্তি আমীরের আনুগত্য করলো সে আমারই আনুগত্য করলো আর যে ব্যক্তি আমীরের অবাধ্যতা করলো সে আমারই অবাধ্যতা করলো।(মুসলিম ৪৬৪১)

আমিরের আনুগত্য থেকে বেরিয়ে যাওয়া ব্যাক্তির মৃত্যু জাহিলিয়াতের মৃত্যু

১১. ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেউ যদি তার আমীর (ক্ষমতাসীন) থেকে এমন কিছু দেখে, যা সে অপছন্দ করে, তাহলে সে যেন ধৈর্য ধরে। কারণ, যে কেউ জামা’আত থেকে এক বিঘত পরিমাণ দূরে সরে মারা যাবে, তার মৃত্যু হবে জাহিলীয়্যাতের মৃত্যু। (বুথারি ৭১৪৩)

১২. আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আনুগত্য থেকে বেরিয়ে গেল এবং জামাআত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল এবং মৃত্যুবরণ করলো, সে জাহিলিয়াতের মৃত্যুবরণ করলো এবং যে ব্যক্তি লক্ষ্যহীন নেতৃত্বের পতাকাতলে যুদ্ধ করে, গোত্রের টানে রুদ্ধ হয় এবং গোত্র প্রীতির জন্যেই যুদ্ধ করে।

সে আমার উম্মাত নয়। আর যে ব্যক্তি আমার উম্মাত থেকে বেরিয়ে আমার উম্মাতেরই পুণ্যবান ও পাপাচারী সকলের গর্দান কাটে, মুমিনদেরকেও রেহাই দেয় না এবং যার সাথে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয় তার অঙ্গীকারও পালন করে না, সে আমার উম্মাত নয়। (মুসলিম ৪৬৪১)

যে কোন পরিস্থিতিতে আমিরের আনুগত্য করতে হবে

১৩. উবাদাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাতে বাইআত হলাম এ মর্মে যে, আমরা শুনবো ও মানবো, সংকটের সময় ও স্বাচ্ছন্দ্যের সময়, খুশীর অবস্থায় ও অপছন্দের অবস্থায় এবং আমাদের উপর অন্যদেরকে প্রাধান্য দিলেও। আর এ মর্মে যে, আমরা যোগ্য ব্যক্তির নেতৃত্ব বরণ করে নিতে কোনরূপ কোন্দল করবো না। আর এ মর্মে যে, আমরা যেখানেই থাকবো হক কথা বলব। আল্লাহর ব্যাপারে কোন ভৎসনাকারীর ভৎসনাকে ভয় করবো না (মুসলিম ৪৬৬২)

তিনি বলেন- যাবৎ না তোমরা তার মধ্যে প্রকাশ্য কুফর দেখতে পাবে এবং তোমাদের কাছে এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে আল্লাহর সুস্পষ্ট প্রমাণ থাকবে। (মুসলিম ৪৬৬৫)

আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী ফায়সালা কারী আমিরের আনুগত্য করতে হবে যদিও অপছন্দ হয়

১৪. ইয়াহইয়া ইবনু হুসায়ন এর দাদী উম্মুল হুসায়ন (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। রাবী ইয়াহইয়া ইবনু হুসায়ন বলেন যে, আমি তাকে বলতে শুনেছি- আমি বিদায় হজ্জে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে হজ্জ আদায় করি। তিনি (রাবী) বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন অনেক কথাই বলেছিলেন।

এরপর আমি তাকে বলতে শুনলাম, যদি তোমাদের উপর কোন হাত-পা কাটা গোলামকেও আমীর নিযুক্ত করা হয় (ইয়াহইয়া ইবনু হুসায়ন বলেন)- আমার ধারণা হয় তিনি (দাদী আরও) বলেছেন- কালো (অর্থাৎ- কৃষ্ণকায় হাবশী গোলাম) আর সে তোমাদেরকে আল্লাহর কিতাব অনুসারে পরিচালিত করে তবে তোমরা তার কথা শুনবে এবং মানবে।(মুসলিম ৪৬৫৬ )

১৫. ’আবদুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার পরে স্বজনপ্রীতি ও তোমাদের অপছন্দনীয় অনেক কিছু ঘটবে। তখন সাহাবাগণ বললেন, আমাদের মধ্যকার যারা তা পাবে তাদের ব্যাপারে আপনার নির্দেশ কী হে আল্লাহর রসূল? তিনি বললেন, তোমাদের উপর আরোপিত দায়িত্ব তোমরা পালন করে যাবে, আর তোমাদের প্রাপ্য হক তোমরা আল্লাহর কাছে চাইবে।(মুসলিম ৪৬৬৯)

১৬. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি তোমাদের উপর এমন কোন হাবশী দাসকেও শাসক নিযুক্ত করা হয়, যার মাথাটি কিশমিশের মত তবুও তার কথা শোন ও তার আনুগত্য কর। (বুখারী ৭১৪২)

খলিফার জুলুম ও পক্ষপাতিত্বের সময় ধৈয্য ধারণ করা ও আনুগত্য করা

১৭. ওয়ায়িল হাযরামী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সালামাহ্ ইবনু ইয়াযীদ আল জু’ফী (রাযিঃ) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ মর্মে প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর নবী! যদি আমাদের উপর এমন শাসকের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় যে, তারা তাদের হক তো আমাদের কাছে দাবী করে কিন্তু আমাদের হক তারা দেয়না। এমতাবস্থায় আপনি আমাদেরকে কী করতে বলেন? তিনি তার উত্তর এড়িয়ে গেলেন। তিনি আবার তাকে প্রশ্ন করলেন। আবার তিনি এড়িয়ে গেলেন।

এভাবে প্রশ্নকারী দ্বিতীয় বা তৃতীয়বারও একই প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি করলেন। তখন আশ’আস ইবনু কায়স (রাযিঃ) তাকে (সালামাকে) টেনে নিলেন এবং বললেন, তোমরা শুনবে এবং মানবে। কেননা তাদের উপর আরোপিত দায়িত্বের বোঝা তাদের উপর বর্তাবে আর তোমাদের উপর আরোপিত দায়িত্বের বোঝা তোমাদের উপর বর্তাবে। (মুসলিম ৪৬৭৬)

১৮. উম্মু সালামাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অচিরেই এমন কতক আমীরের উদ্ভব ঘটবে তোমরা তাদের চিনতে পারবে এবং অপছন্দ করবে। যে ব্যক্তি তাদের স্বরূপ চিনল সে মুক্তি পেল এবং যে ব্যক্তি তাদের অপছন্দ করল নিরাপদ হলো। কিন্তু যে ব্যক্তি তাদের পছন্দ করল এবং অনুসরণ করল (সে ক্ষতিগ্রস্ত হল)

লোকেরা জিজ্ঞেস করল, আমরা কি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব না? রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ না, যতক্ষণ তারা সালাত আদায়কারী থাকবে। (মুসলিম ৪৬৯৪) তোমাদের শাসকদের মধ্যে কোনরূপ অপছন্দনীয় কাজ দেখবে; তখন তোমরা তাদের সে কাজকে ঘৃণা করবে; কিন্তু (তাদের) আনুগত্য থেকে হাত গুটিয়ে নেবে না। (মুসলিম ৪৬৯৮)

আল্লাহর অবাধ্যতায় আমিরের আনুগত্য নাই;

১৯, ইবনু উমর (রাযিঃ) এর সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, মুসলিম ব্যক্তির অবশ্য পালনীয় কর্তব্য হচ্ছে শোনা ও মানা তার প্রতিটি প্রিয় ও অপ্রিয় ব্যাপারে যতক্ষণ না তাকে আল্লাহর অবাধ্যতার আদেশ করা হয়। যদি আল্লাহর অবাধ্যতার নির্দেশ তাকে দেয়া হয় তাহলে তা শুনবেও না এবং মানবেও না।(মুসলিম ৪৬৫৭)

২০. আলী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন এক অভিযানে একটি বাহিনী প্রেরণ করলেন এবং জনৈক আনসারীকে তাদের আমীর নিযুক্ত করে দিলেন। তাদেরকে তার কথা শুনতে ও আনুগত্য করতে আদেশ করলেন। তারপর কোন বিষয়ে তারা তাকে রাগান্বিত করে তুলল।

সে তখন বলল, আমার জন্য কাঠ কুড়িয়ে এনে একত্রিত করো। তারা তা করলো। এরপর সে বলল, আগুন প্রজ্জ্বলিত কর। তখন তারা আগুন প্রজ্জ্বলিত করল। তারপর সে বলল, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি তোমাদেরকে আমার কথা শুনার এবং আমার আনুগত্য করার নির্দেশ দেননি?

তারা বলল, জী-হ্যাঁ। তখন সে বলল, তাহলে তোমরা এবার এ আগুনে ঝাপ দাও। তখন তারা পরস্পরে পরস্পরের দিকে তাকাতে শুরু করলো। তারপর তারা জবাব দিলো- আমরা তো এ আগুন থেকে বাচার জন্যই রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শরণাপন্ন হয়েছি। তারা আগুনে ঝাঁপ দিলেন না। তার ক্রোধ প্রশমিত হলো এবং আগুন নিভিয়ে দেয়া হলো।

তারপর যখন তারা ফিরে এলো এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট বিষয়টি উত্থাপন করলো তখন তিনি বললেন, যদি তারা তখন আগুনে ঝাপ দিতো, তাহলে আর বেরোতে পারতো না। আনুগত্য কেবল সৎ কাজে। (মুসলিম ৪৬৬০)

২১. ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সকল মুসলিমেরই নেতার কথা শোনা ও আনুগত্য করা অবশ্য কর্তব্য, তা হোক তার পছন্দের বা অপছন্দের, তাকে যে পর্যন্ত গুনাহের কাজের নির্দেশ না দেওয়া হবে। যদি তাকে গুনাহের কাজের নির্দেশ দেওয়া হয় তাহলে তা না শুনা এবং না মানাই তার কর্তব্য।(তিরমিজী ১৭০৭)

আমির অপসারণে রাসূলের নির্দেশ

২২.’উকবাহ ইবনু মালিক (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি ক্ষুদ্র সেনাদল অভিযানে পাঠালেন। আমি তাদের একজনকে একটি তরবারি দিলাম। লোকটি অভিযান থেকে ফিরে এসে আমাকে বললো, তুমি যদি দেখতে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের (অযোগ্যতার কারণে) কিভাবে তিরস্কার করেছেন!

তিনি বলেছেনঃ আমি যখন তোমাদের একজনকে (অধিনায়ক করে) পাঠালাম, অথচ সে আমার নির্দেশ মোতাবেক চললো না, তখন আমার নির্দেশ কার্যকর করার জন্য অন্য কাউকে কেন তার স্থলাভিষিক্ত করলে না। তোমরা কি এতই অপারগ ছিলে? (আবু দাউদ ২৬২৭)

দুই খলিফা হলে করণীয়

২৩. আবূ সাঈদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি দু’ খলীফার জন্য বাই’আত গ্রহণ করা হয় তবে তাদের শেষোক্ত ব্যক্তিকে হত্যা করবে। (মুসলিম ৪৬৯৩)

Obedience to the Imam

বিবিধ

২৪. ’আবদুর রহমান ইবনু আবদ রাব্বিল কা’বা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একদা মসজিদে প্রবেশ করলাম। তখন ‘আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনু আস (রাযিঃ) কাবার ছায়ায় বসেছিলেন। লোকজন তাকে চারপাশ থেকে ঘিরেছিল। আমি তাদের নিকট গেলাম এবং তার পাশেই বসে পড়লাম। তখন তিনি বললেন, কোন সফরে আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে ছিলাম।

আমরা একটি অবস্থান গ্রহণ করলাম। আমাদের মধ্যকার কেউ তখন তার তাবু ঠিকঠাক করছিল, কেউ তীর ছুড়ছিল, কেউ তার পশুপাল দেখাশুনা করছিল। এমন সময় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নকীব হাঁক দিল নামাযের ব্যবস্থা প্রস্তুত! তখন আমরা গিয়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পাশে মিলিত হলাম।

obedience to the imam, obedience to parents in islam, obedience to the prophets, obedience is the highest form of sacrifice, for obedience is better than sacrifice, obedience is important to god, hadith about obedience to husband, islam obedience to parents

Keyword

তিনি বললেনঃ আমার পূর্বে এমন কোন নবী অতিবাহিত হননি যার উপর এ দায়িত্ব বর্তায়নি যে, তিনি তাদের জন্য যে মঙ্গলজনক ব্যাপার জানতে পেরেছেন তা উম্মাতদেরকে নির্দেশনা দেননি এবং তিনি তার জন্য যে অনিষ্টকর ব্যাপার জানতে পেরেছেন, সে বিষয়ে তাদেরকে সাবধান করেননি। আর তোমাদের এ উম্মাত (উম্মাতে মুহাম্মাদ)-এর প্রথম অংশে তার কল্যাণ নিহিত এবং এর শেষ অংশ অচিরেই নানাবিধ পরীক্ষা ও বিপর্যয়ের এবং এমন সব ব্যাপারের সম্মুখীন হবে, যা তোমাদের নিকট অপছন্দনীয় হবে

এমন সব বিপর্যয় একাদিক্রমে আসতে থাকবে যে, একটি অপরটিকে ছোট প্রতিপন্ন করবে। একটি বিপর্যয় আসবে তখন মু’মিন ব্যক্তি বলবে- এটা আমার জন্য ধ্বংসাত্মক, তারপর যখন তা দূর হয়ে অপর বিপর্যয়টি আসবে তখন মুমিন ব্যক্তি বলবে, আমি তো শেষ হয়ে যাচ্ছি ইত্যাদি।

সুতরাং, যে ব্যক্তি জাহান্নাম থেকে দূরে থাকতে চায় এবং জান্নাতে প্রবেশ করতে চায় তার মৃত্যু যেন এমন অবস্থায় আসে যে, সে আল্লাহ ও আখিরাতের দিবসের প্রতি ঈমান রাখে এবং সে যেন মানুষের সাথে এমনি আচরণ করে যে আচরণ সে তার নিজের জন্য পছন্দ করে। আর যে ব্যক্তি কোন ইমাম (বা নেতা) এর হাতে বাই’আত হয়— আনুগত্যের শপথ গ্রহণ করে তার হাতে হাত দিয়ে এবং অন্তরে সে ইচ্ছা পোষণ করে, তবে সে যেন সাধ্যানুসারে তার আনুগত্য করে যায়।

তারপর যদি অপর কেউ তার সাথে (নেতৃত্ব লাভের অভিলাষে) ঝগড়ায় প্রবৃত্ত হয় তবে ঐ পরবর্তী জনের গর্দান উড়িয়ে দেবে। (রাবী বলেন) তখন আমি তার নিকটে ঘেষলাম এবং তাকে বললাম, আমি আপনাকে আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি সত্যিই আপনি (নিজ কানে) কি তা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট থেকে শুনেছেন? তখন তিনি তার দু’কান ও অন্তঃকরণের দিকে দু’হাত দিয়ে ইশারা করে বললেন, আমার দু’কান তা শুনেছে এবং আমার অন্তঃকরণ তা সংরক্ষণ করেছে।

তখন আমি তাকে লক্ষ্য করে বললাম, ঐ যে আপনার চাচাতো ভাই মু’আবিয়্যাহ্ (আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট হন) তিনি আমাদেরকে আদেশ দেন যেন আমরা আমাদের পরস্পরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করি আর নিজেদের মধ্যে পরস্পরে হানাহানি করি অথচ আল্লাহ বলেছেন, “হে মু’মিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না, ব্যবসার মাধ্যমে পারস্পরিক সন্তুষ্টির ভিত্তিতে ব্যতীত এবং তোমরা পরস্পরে হানাহানি করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি অত্যন্ত মেহেরবান”- (সূরা আন নিসা ৪: ২৯)

রাবী বলেন, তখন তিনি কিছুক্ষণের জন্য চুপ থাকলেন। তারপর বললেন, আল্লাহর আনুগত্যের ব্যাপারসমূহে তুমি তার আনুগত্য করবে এবং আল্লাহর অবাধ্যতার বিষয়গুলোতে তার অবাধ্যতা করবে। (মুসলিম ৪৬৭০)

২৫. আবূ ইদরীস খাওলানী (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হুযাইফাহ্ ইবনু ইয়ামান (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছি যে, লোকজন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট কল্যাণের বিষয়ে প্রশ্ন করতো আর আমি তার নিকট প্রশ্ন করতাম অকল্যাণ সম্পর্কে এ ভয়ে যে, পরে না তা আমাকে পেয়ে বসে।

তাই আমি (কোন এক সময়) প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহর রসূল! আমরা ছিলাম অজ্ঞতা ও অমঙ্গলের মধ্যে। তারপর আল্লাহ আমাদের জন্য এ কল্যাণ প্রদান করলেন। এ কল্যাণের পরও কি কোন অকল্যাণ আছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তারপর আমি বললাম, ঐ অকল্যাণের পর কি আবার কল্যাণ আছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, তবে তাতে ধুম্রতা আছে।

আমি বললাম, কী সে ধুম্রতা? তিনি বললেন, তখন এমন একদল লোকের উদ্ভব হবে যারা আমার প্রবর্তিত পদ্ধতি ছাড়া অন্য পদ্ধতি অবলম্বন করবে, আমার প্রদর্শিত হিদায়াতের পথ ছেড়ে অন্যত্র হিদায়াত তুমি খুঁজবে। দেখবে তাদের মধ্যে ভাল মন্দ উভয়টাই। তখন আমি আরয করলাম, এ কল্যাণের পর কি কোন অকল্যাণ আছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, জাহান্নামের দরজার দিকে আহ্বানকারীদের উদ্ভব হবে। যারা তাদের ডাকে সাড়া দেবে তারা তাদেরকে তাতে নিক্ষেপ করবে।

আমি তখন বললাম, হে আল্লাহর রসূল! তাদের পরিচয় ব্যক্ত করুন। তিনি বললেন, হ্যাঁ, তাদের বর্ণ হবে আমাদেরই মতো এবং তারা আমাদেরই ভাষায় কথা বলবে। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! যদি আমরা সে পরিস্থিতির সম্মুখীন হই তবে আমাদেরকে আপনি কী করতে বলেন? তিনি বললেন, তোমরা মুসলিমদের জামাআত ও ইমামের সাথে আঁকড়ে থাকবে।

আমি বললাম, যদি তাদের কোন জামা’আত বা ইমাম না থাকে? তিনি বললেন, তা হলে সে সব বিচ্ছিন্নতাবাদ থেকে তুমি আলাদা থাকবে- যদিও তুমি একটি বৃক্ষমূল দাত দিয়ে আঁকড়ে থাক এবং এ অবস্থায়ই মৃত্যু তোমার নাগাল পায়। (মুসলিম ৪৬৭৯)

obedience to the imam, obedience to parents in islam, obedience to the prophets, obedience is the highest form of sacrifice, for obedience is better than sacrifice, obedience is important to god, hadith about obedience to husband, islam obedience to parents

Keyword

২৬. ‘আবদুল্লাহ্ (ইবনু মাস’ঊদ) (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আজ আমার নিকট এক ব্যক্তি আগমন করে। সে আমাকে একটি বিষয়ে প্রশ্ন করে, যার উত্তর কী দিব, তা আমার বুঝে আসছিল না।’ লোকটি বললো, ‘বলুন তো, এক ব্যক্তি সশস্ত্র অবস্থায় সন্তুষ্টচিত্তে আমাদের আমীরের সঙ্গে যুদ্ধে বের হল। কিন্তু সেই আমীর এমন সব নির্দেশ দেন যা পালন করা সম্ভব নয়।

আমি বললাম, ‘আল্লাহর কসম! আমি বুঝতে পারছি না যে, তোমাদের এ প্রশ্নের কী উত্তর দিব? হ্যাঁ, তবে এতটুকু বলতে পারি যে, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি সাধারণত আমাদেরকে কোন বিষয়ে কঠোর নির্দেশ দিতেন না। কিন্তু একবার মাত্র এরূপ নির্দেশ দিয়েছিলেন, আর আমরা তা পালন করেছিলাম। আর তোমাদের যে কেউ ততক্ষণ ভাল থাকবে, যতক্ষণ সে আল্লাহ্ তা’আলাকে ভয় করতে থাকবে।

আর যখন সে কোন বিষয়ে সন্দিহান হয়ে পড়বে, তখন সে এমন ব্যক্তির নিকট প্রশ্ন করে নিবে, যে তাকে সন্দেহ মুক্ত করে দিবে। আর সে যুগ অতি নিকটে যে, তোমরা এমন ব্যক্তি পাবে না। শপথ সেই সত্তার যিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। দুনিয়ায় যা অবশিষ্ট রয়েছে, তার উপমা এরূপ যেমন একটি পুকুরের মধ্যে পানি জমেছে। এর পরিষ্কার পানি তো পান করা হয়েছে, আর নীচের ঘোলা পানি বাকী রয়ে গেছে। (বুখারী ২৯৬৪)

আপনাদের যদি এরকম আরো তথ্যবহুল পোস্ট এর প্রোয়োজন হয় তাহলে আমাকে ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে ফলো করতে পারেন। নিচে লিংক দেয়া আছে।

ধন্যবাদ……….!

Download This Article in PDF Format

Download Link -1

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *